এক মহিলাকে ভোজালি দিয়ে কোপানোর ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। মঙ্গলবার সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি থানার মিলনপল্লিতে। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক যুবককে ধরে ব্যাপক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা। পুলিশ জানায়, জখম মহিলার নাম শিউশান্তি দ্বিবেদী। তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। ধৃতের নাম, কার্তিক দাস। তার একটি গ্যাস সিলিন্ডার সারানোর দোকান রয়েছে। তাকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, গ্যাস সরবরাহের কাজে ওই যুবক মাঝে মধ্যেই ওই বাড়িতে যেত। জখম মহিলার পরিবারের অভিযোগ, গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করার নাম করে ভেতরে ঢুকে ওই যুবক এবং তাঁর আরও ২ সঙ্গী ডাকাতির চেষ্টা করে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “গ্যাস সরবরাহের জন্য ওই যুবক এর আগেও কয়েকবার ওই বাড়িতে যায়। এদিন সে গিয়ে ওই মহিলাকে একা বাড়িতে দেখতে পারে। তার পরেই ওই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ওই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিউশান্তি দেবীর বাড়ি কানপুরে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এক ছেলেকে নিয়ে মিলনপল্লিতে দিদির বাড়িতে থাকেন। তাঁর জামাইবাবু কমলকিশোর তেওয়ারি চায়ের ব্যবসা করেন। এদিন ব্যবসার কাজে কমলবাবু বাইরে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী রমা দেবী ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যান। জখম মহিলার ছেলে পুনিতও সেই সময় পড়াশোনার জন্য বাইরে ছিল। জখম মহিলার পরিবারের পক্ষে অভিযোগ করা হয়েছে, এদিন সাড়ে ১১টা নাগাদ ৩ যুবক কমলবাবুর বাড়ির সামনে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান। তা শুনে শিউশান্তি দেবী গেট খুলে বাইরে বার হন। যুবকদের সঙ্গে কোনও সিলিন্ডার না দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তিনি ঘরের ভেতরে ঢুকে গেট বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে দুষ্কৃতীরা ভেতরে ঢোকে। তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে কার্তিক ভোজালি বের করে কোপাতে শুরু করে। ওই মহিলার হাতে ও পেটে কোপানো হয়েছে। তিনি চিৎকার করলে ২ জন পালিয়ে যায়। অপর জন বেরোতে দেরি করে। ততক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হয়ে কার্তিককে ধরে ফেলে। তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কমলবাবুর প্রতিবেশী উমেশ অগ্রবাল বলেন, “কমলবাবুরা দোতলায় থাকেন। ওই মহিলা একা ছিলেন। সেই সুযোগেই ডাকাতির চেষ্টা হয়।” |