আজ, বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভার বাজেট অধিবেশন। ২০১২-২০১৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করবেন শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। বিশেষ করে গত ২ বছরের বেশি সময় গড়িয়ে গেলেও তিনি নতুন কোনও প্রকল্পের কাজ সেভাবে করে উঠতে পারেননি। এ বার তাই নতুন কিছু প্রকল্পের প্রস্তাব বাজেটে রাখবেন কি না সেই আশাতেই রয়েছে শহরবাসী। সে ক্ষেত্রে শহরের গরিব পরিবারগুলিকে সুযোগসুবিধার দেওয়ার লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রস্তাব রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। বাসিন্দারাও আশাবাদী। বিশেষ করে সুসংহত বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে না-হওয়ায় বাসিন্দাদের ক্ষোভ রয়েছে। জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশনের অধীনেও শিলিগুড়িকে আনা সম্ভব হয়নি। রাজীব আবাস যোজনার কাজও এগোয়নি। এই পরিস্থিতিতে বাজেটের মুখে গত ২৬ মার্চ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে পুরসভার পরিকাঠামোর ঘাটতির দিকগুলি আলোচনা হয়েছে মন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে। উন্নয়নের সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা দেখাতে পারলে আর্থিক সহায়তার আশ্বাসও পেয়েছেন তিনি। সে দিকে লক্ষ্য রেখে মেয়রের বাজেটে নতুন কোনও পরিকল্পনার প্রস্তাব রাখার সম্ভবনা থাকছে। মেয়র বলেন, “বুধবার পুরসভার বাজেট রয়েছে। বাসিন্দাদের স্বার্থে বেশ কিছু পরিকল্পনার প্রস্তাব নিশ্চয়ই থাকবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের বৈঠকে বেশ কিছু ইতিবাচক কথাও হয়েছে। বাজেটে সে বিষয়েও কিছু কাজের প্রস্তাব রাখতে চাই।” শহরে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যা বড় আকার নিয়েছে। ইতিমধ্যেই সমস্যা মেটাতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরির প্রকল্প গড়তে উদ্যোগী হয়েছেন মেয়র। বাজেটে তা বিশদে তুলে ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। পিপিপি মডেলে যে সংস্থা প্রকল্প গড়তে সহায়তা করবে তাদের তরফেই প্রকল্পের খরচ দেওয়ার কথা। একই রকম ভাবে পিপিপি মডেলে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গড়ার কথাও রয়েছে। সম্প্রতি পুরসভার তরফে বাড়ি তৈরির নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে এলইউসিসি, বাড়ির তৈরির ক্ষেত্রে সৃষ্টি আবর্জনা সাফাইয়ের ফি, ১ শতাংশ সেস-সহ বিভিন্ন কর ধার্য করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একাংশ ফি বাড়ানোও হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব পুর কর্তৃপক্ষকে আয় বাড়ানোর পরামর্শ দিলেও বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এভাবে বাসিন্দাদের উপর একাধিক ফি চাপিয়ে দেওয়ার সমালোচনাও করেন। বাজেটে তার প্রতিফল ঘটতে পারে বলে বাসিন্দারা প্রত্যাশা করছেন। |