ফের জেল হাজতে সিপিএম বিধায়ক
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া |
তৃণমুল কর্মী খুনের অভিযোগে ধৃত তালড্যাংরার সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্রের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল খাতড়া আদালত। মঙ্গলবার তাঁকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে এসিজেএম ফটিকচন্দ্র মণ্ডল আবার ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ২০১০ সালের ২৯ জুন তালড্যাংরার রাজপুর গ্রামে সিপিএম-তৃণমুল সংঘর্ষে নিহত হন প্রৌঢ় তৃণমূল কর্মী মদন খা। ওই ঘটনায় সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোরঞ্জন পাত্র-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ছেলে ইসমাইল খা। হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খাতড়া আদালতে ওই সিপিএম বিধায়ক আত্মসমর্পণ করেন। মাঝে সাতদিন পুলিশ হেফাজত ছাড়া তিনি জেল হাজতে রয়েছেন। বিধায়কের আইনজীবী চঞ্চল রায় এ দিন জামিনের আবেদন জানালেও সরকার পক্ষের আইনজীবী নারদ ভুঁইয়া আবেদনের বিরোধিতা করেন। বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে ফের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১০ এপ্রিল ফের বিধায়ককে খাতড়া আদালতে তোলা হবে। |
কাটা হাত নিয়েই হাঁটা দিলেন মানু
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
ট্রেনের চাকায় কাঁধের নীচ থেকে একটা হাত কাটা পড়েছিল। সেই অবস্থায় মধ্য চল্লিশের এক ব্যক্তি অন্ধকারে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে গিয়ে চিকিৎসার জন্য আর্তি জানালেন। সোমবার রাতে পুরুলিয়ার বরাভূম ষ্টেশনে ঘটনাটি ঘটেছে। শিলিগুড়ির শালুগাড়ার বাসিন্দা মানু দাসকে এর পরেই রেলকর্মীরা স্টেচারে চাপিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠান। পরে তাঁকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কাঁধের কিছুটা নীচ থেকে তাঁর বাঁ হাত বাদ পড়েছে। হাসপাতালে তিনি বলেন, “দক্ষিণ বিহার এক্সপ্রেসে ওড়িশার ঝাড়সুগদা থেকে বিহারের আরাতে যাচ্ছিলাম। বরাভূম ষ্টেশনে ট্রেনের দরজা থেকে পড়ে যাই। হুঁশ ফিরতেই দেখি বাঁ হাতটা কাটা পড়েছে। একটা কুকুর কাটা হাতটা মুখে নিয়ে চলে গেল। বাঁচার তাগিদে স্টেশন ম্যানেজারের অফিসের দিকে এগিয়ে যাই।” বরাভূমের স্টেশন ম্যানেজার পশুপতি দাস বলেন, “মনের জোরেই ওই ব্যক্তি দুঘর্টনার পরে এ ভাবে হেঁটে এসেছেন।” হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “রক্তক্ষরণ কম হয়। তবে এ ক্ষেত্রে স্নায়ু ঠিক রাখাই চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। আমার ৩০ বছরের চাকরি জীবনে এরকম ঘটনা দেখিনি।” মানুবাবুর পরিবারকে দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়েছে বলে রেল জানিয়েছে। |
মারধরের নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে মারধর খেলেন বিদ্যু বিভাগের কর্মীরা। সোমবার মানবাজার থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মানবাজারের ষ্টেশন সুপারিন্টেনন্ডেন্ট মারুতি মাহাতোর অভিযোগ, “স্থানীয় জামগড়িয়া গ্রামে বিদ্যুতের বিল বকেয়া ছিল। কয়েক দিন আগে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চার জন কর্মী গেলে তিন ব্যক্তি তাঁদের মারধর করে।” পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধান করছে। |
পুড়ল বাড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুঞ্চা |
আগুনে পুড়ে গেল তিনটি বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে পুঞ্চার ধাদকা গ্রামের ঘটনা। আগুনে একটি মোষ পুড়ে গিয়ে জখম হয়। দমকল পৌঁছনোর আগে বাসিন্দারা জল ঢেলে আগুন নিভিয়ে দেন। অঙ্কুর মাহাতো ও তাঁর দুই ভাইয়ের বাড়ি আগুনে পুড়েছে। তাঁরা বলেন, “কী ভাবে এই কাণ্ড ঘটল জানি না।” পুলিশ জানিয়েছে সম্ভবত রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়িয়েছে। |
দুর্ঘটনায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
ট্রাক্টরের চাকায় চাপা পড়ে বালকের মৃত্যুর ঘটনার দু’দিন পরেও সেই ট্রাক্টরের চালক গ্রেফতার হয়নি। এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের লোকেরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। মানবাজার থানার মুদিডি গ্রামে শনিবার দূর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত্যু হয় রঞ্জিত মুদির (৬)। পুলিশ জানিয়েছে ট্রাক্টরটি আটক করা হয়েছে। চালকের খোঁজ করা হচ্ছে। |