ঘুম থেকে তুলে স্বামীকে মারধর করে তাঁর সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার সস্তাখালি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ওই দম্পতি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলার পুলিশ সুপার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দু’রাউন্ড গুলিও উদ্ধার হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ওই দম্পতি বাড়ির কাছে একটি আলা ঘরের ( মেছোভেড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য ছোটো চালাঘর) সামনে ঘুমোচ্ছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী তাদের উপরে চড়াও হয়। দুষ্কৃতীরা তাঁদের ঘুম থেকে তুলে মারধর শুরু করে। পরে মহিলাকে কাছেই একটি মাঠে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই মহিলার স্বামী বলেন, “রাতে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির সামনে আলা ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। মাঝরাতে হঠাৎ ১০-১২ জনের একটি দল আমাদের উপর চড়াও হয়। আমার কাছে টাকা চায়। টাকা নেই বলায় মারধর শুরু করে। তার পরেই তাদের মধ্যে চারজন আমার স্ত্রীর চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে মাঠের মাঝখানে নিয়ে যায়। চারজন আমাকে আটকে রাখে ও বাকিরা স্ত্রর উপরে অত্যাচার চালায়। পরে আমাকে বাড়িতে টেনে নিয়ে গিয়ে বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। আলমারি ভেঙে গয়নাগাটি লুঠ করে।”
মহিলা বলেন, “স্বামী কলকাতায় পাথরের কাজ করেন। প্রতি সপ্তাহে শনিবার রাতে বাড়ি আসেন। বাড়ির সামনের পুকুরে মাছ চাষ করা হয়েছিল। সেই কারণে রাতে পাহারা দিতেই স্বামীর সঙ্গে আলাঘরে ঘুমিয়েছিলাম। মাঝরাতে কয়েকজন আমাকে চুলের মুঠি ধরে মাঠের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ও পরপর ধর্ষণ করে। এমনকী ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।” স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, চিৎকার শুনে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে তাঁর বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। |