নিরাপত্তারক্ষীদের পিটিয়ে কারখানা তছনছ করে লক্ষ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ লুঠের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানার বিবিরহাটে এক জেনারেটর তৈরির কারখানায়। মেন রোড থেকে দু’কিলোমিটার ভিতরে বড়সড় ওই কারখানায় লুঠের অভিযোগে গোটা এলাকায় পুলিশি টহলের হাল নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ জানায়, পাঁচিল টপকে ঢুকে জনা কুড়ি দুষ্কৃতী কারখানার ন’জন নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে লুঠপাট করে। ভিতরে বিশ্রামরত আরও ১০ জন কর্মী দুষ্কৃতীদের হাতে বেধড়ক মার খান বলে অভিযোগ। শ্রীমন্ত মান্না নামে এক কর্মী গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
পুলিশি তদন্তে প্রকাশ, সিমেন্ট বাঁধানো ন’টি ওয়েল্ডিং মেশিন শাবলের বাড়ি মেরে মাটি থেকে উপড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। বিভিন্ন ঘরে ভাঙচুর করে ছোট ছোট জেনারেটর মেশিনও জড়ো করা হয়। লুঠের মাল সব বড় একটা লরিতে করে সরানো হয় বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, লুঠের সময়ে বাইরেও ক’জন দুষ্কৃতী নজর রাখছিল।
এ দিন সকালে কারখানার এক রক্ষী বলেন, “রাত দু’টো নাগাদ ঢুকে দুষ্কৃতীরা তিনটে পর্যন্ত লুঠপাট চালায়। চারটে নাগাদ কারখানার সদর দরজার তালার চাবি ছিনিয়ে একটি লরি ভিতরে এনে যন্ত্রাংশ ও জেনারেটর তুলে পালায়।”
দু’ঘণ্টা এই ‘অপারেশন’ পুলিশ টের পেল না কেন? দক্ষিণ ২৪ পরগনার এসপি লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানান, রাতে এলাকায় টহলদারি ব্যবস্থা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার সময়ে কয়েক জন কর্মী কারখানাতেই লুকিয়ে ছিলেন বলে পুলিশ জেনেছে। লরি বেরিয়ে গেলে তাঁরাই নিরাপত্তারক্ষীদের বাঁধন খুলে দেন। কারখানার ম্যানেজারকে ফোন করা হয়। ভোর পাঁচটা নাগাদ মালিক ও কর্তারা কারখানায় আসেন। কারখানার মালিক অরিজিৎ বসু বলেন, “প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ চুরি করা হয়েছে।”
লক্ষ্মীনারায়ণবাবুর অবশ্য দাবি, লুঠেরারা শনাক্ত হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কারখানার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের চেহারার বিবরণ মিলেছে। তিনি বলেন, “তাড়াতাড়ি দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে বলে মনে হচ্ছে।” |