ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র বেশ কিছু দিন ধরেই চাপান-উতোর চলছিল। মঙ্গলবার অভিভাবকদের একাংশ খড়দহের রহড়া ভবনাথ ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস স্কুলে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে ন। সন্ধ্যায় ঘেরাও সরিয়ে শিক্ষিকাদের মুক্ত করে পুলিশ।
স্কুল সূত্রের খবর, পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য স্কুলে ২০০টি আসন থাকলেও ইতিমধ্যেই ২২২ জন ভর্তি হয়েছে। লটারিতে বাতিল হয়ে যাওয়া কিছু ছাত্রী এবং অন্য স্কুলে সুযোগ পাওয়া কয়েক জন পড়ুয়ার অভিভাবকেরা তাঁদের মেয়েদের এই স্কুলে ভর্তি নেওয়ার জন্য বারবার আর্জি জানাচ্ছিলেন। তাঁরা ব্যারাকপুরে ডিআই অফিসে ধর্নাও দেন।
ডিআই অফিস থেকে আরও ২২ জনকে ভর্তি করার কথা জানিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে চিঠি এলেও ওই ২২ জন ছাত্রী ইতিমধ্যেই অন্য স্কুলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে বলে ভবনাথ ইনস্টিউশনের পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পরিচালন সমিতির সভাপতি মানবেন্দ্র সাধু বলেন, ‘‘আমরা ডিআই অফিস থেকে নতুন করে পাঠানো ২২ জনের নামের তালিকা মিলিয়ে দেখেছি, প্রত্যেকেই অন্য স্কুলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি না-হওয়া ছাত্রীদেরই নেওয়ার কথা। কিন্তু যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা লটারির দিন আসেননি। উল্টে ডিআই অফিসে গিয়ে, আমাদের শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে সকলকে বিভ্রান্ত করছেন।’’
কয়েক জন অভিভাবক এ দিন দুপুরে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান। অভিভাবকদের অভিযোগ, কথা বলা তো দূরের কথা, স্কুল-কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহারও করছেন না। তাই তাঁরা ঘেরাও শুরু করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রধান শিক্ষিকা এবং অন্য শিক্ষিকাদের স্কুল থেকে বার করা হয়। সন্ধ্যা রায় নামে এক অভিভাবিকা বলেন, “ডিআই-এর নির্দেশ না-মেনে ওঁরা অহংয়ের লড়াইয়ে নেমেছেন। মাঝখান থেকে আমাদের মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।’’ ডিআই সুকুমার দাস বলেন, ‘‘আমি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানাব।’’ |