|
|
|
|
জল্পনা ঘাটাল পুরসভায় |
বাজেট-বৈঠক বয়কট তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
তৃণমূল-কংগ্রেস পরিচালিত ঘাটাল পুরসভায় দুই শরিকের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল বেশ কয়েক মাস আগেই। সোমবার পুরসভার ২০১২-২০১৩ আর্থিক বছরের বাজেট সংক্রান্ত বৈঠক তৃণমূল কাউন্সিলরেরা বয়কট করায় তা প্রকাশ্যে এল। বৈঠক বয়কটের কারণ নিয়ে পরিষ্কার ভাবে কিছু জানায়নি তৃণমূল। বয়কটের কথা মেনে নিলেও এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি ঘাটাল শহর তৃণমূল নেতা অরুণ মণ্ডল।
ঘাটালে কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে অনেক দিন ধরেই চলছে চাপান-উতোর। কাউকে সঙ্গে না-নিয়ে কংগ্রেসের পুরপ্রধান নিজেই উন্নয়নের পরিকল্পনা করছেন বলে তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ। আবার পুরপ্রধানের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলের কয়েক জন কাউন্সিলর তাঁর কাজে বাধা দিচ্ছেন। এমনকী কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর বোর্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য সিপিএমের সঙ্গে গোপনে বোঝাপড়া করছেন বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের। পুরপ্রধান জগন্নাথ গোস্বামী বলেন, “আমার এবং আমার দলের কোনও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ প্রমাণ-সহ তুলে ধরতে পারলে আমরা বোর্ড থেকে নিজেরাই সরে যাব। অনাস্থা আনার কোনও প্রয়োজন হবে না।” তবে, নাম না নিলেও দলের কাউন্সিলরদের সমর্থন পেতে পুরবোর্ডের এক পক্ষ টানাটানি শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সিপিএম নেতা অশোক সাঁতরাও।
১৭টি ওয়ার্ডের ঘাটাল পুরসভায় এখন কংগ্রেসের আসন ৫টি। তৃণমূলের ৬টি (দলীয় প্রতীকে ৪ জন জিতেছেন। পরে বামজোট থেকে সরে এসে দু’জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন) এবং সিপিএমের ৬টি। পুর-নিবার্চনের সময়েও ৩টি ওয়ার্ড বাদে বাকিগুলিতে কংগ্রেস-তৃণমূল আলাদা ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। দুই দলের স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে তীব্র বিরোধ সত্ত্বেও ফলপ্রকাশের পরে এলাকার মানুষের ও নিচুতলার কর্মীদের আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে জোট বেঁধে পুরসভার দখল নেয় কংগ্রেস ও তৃণমূল। পুরপ্রধান হন কংগ্রেসের জগন্নাথ গোস্বামী। উপপুরপ্রধান পদে বসেন তৃণমূলের উদয়শঙ্কর সিংহরায়।
আগের সিপিএম-জিইউসি জোট পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, পক্ষপাতিত্ব-সহ নানা অভিযোগ ছিল। কিন্তু পালাবদলের পরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই অভিযোগ। টাকা নয়ছয়, অনিয়মের অভিযোগ উঠছে নতুন বোর্ডের বিরুদ্ধেও। তার উপর শরিক দুই দলের কাউন্সিলরদের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকায় উন্নয়নের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ একাংশ পুরবাসীরও। উন্নয়ন-খাতের টাকা খরচে কোনও পরিকল্পনা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। |
|
|
|
|
|