দিঘায় লোকনৃত্য উৎসব ঘিরে বিতর্ক
কিছুই জানে না জেলা পরিষদ
জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দিঘায় পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের লোকনৃত্য উৎসবের আয়োজন ঘিরে বিতর্ক বেধেছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে আমন্ত্রণপত্র বিলি ঘিরেও। নিউদিঘার হলিডে হোম সেক্টরে গত ২৩ থেকে ২৬ মার্চ এই উৎসবের আয়োজন করেছিল পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র। অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ বা স্থানীয় রামনগর-১ ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতি, কাউকেই উৎসবের কথা জানানো হয়নি।
জেলা সভাধিপতি গাঁধী হাজরা বলেন, ‘‘দিঘায় কেন্দ্রীয় সরকারের একটি দফতরের এত বড় অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমি বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানি না, আমন্ত্রণপত্র পাওয়া তো দূরের কথা।” একই বক্তব্য রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাসের। ব্লক প্রশাসনের ‘অজ্ঞাতসারে’ অনুষ্ঠান করা এবং রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব দেবাশিস সেনকে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করানোর ঘটনায় দেবব্রতবাবু বিস্মিত। তাঁর কথায়, ‘‘জেলার একমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দুই সাংসদ থেকে সভাধিপতি-সহ জেলা প্রশাসনের কাউকে না ডাকাটা উদ্যোক্তাদের সৌজন্যের ব্যাপার। সে ব্যাপারে কিছু বলার নেই। কিন্তু ব্লক প্রশাসনের অনুমতিটুকু উদ্যোক্তাদের অবশ্যই নেওয়া উচিত ছিল।” রামনগর ১-এর বিডিও রানা বিশ্বাসও বলেন, “দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এলাকার মধ্যে অনুষ্ঠান হলেও অনুমতি ব্লক প্রশাসন থেকেই নিতে হয়।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১৩ জানুয়ারি দিঘায় সৈকত উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন। তখনও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল বলে জানান জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায়। স্বপনবাবুর অভিযোগ, এ বারের উৎসবে উদ্যোক্তারা লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্রয়োজনীয় সব কিছুই কলকাতা থেকে বয়ে এনেছেন। এতে স্থানীয় শ্রমিকদের কোনও উপকার হয়নি। জেলা সভাধিপতি গাঁধী হাজরা জানান, জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের একটি দফতর কী ভাবে রাজ্য প্রশাসনের অঙ্গ স্থানীয় প্রশাসনকে উপেক্ষা করে অনুষ্ঠান করল, রাজ্য সরকারের কাছে তিনি তার তদন্ত দাবি করবেন।
এ প্রসঙ্গে পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা অনুপ মতিলালের প্রতিক্রিয়া, “গোটা অনুষ্ঠানটি ভারত সরকারের সংস্কৃতি দফতর এবং দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ যৌথ ভাবে আয়োজন করেছে। পর্ষদ অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। আর নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব দেবাশিস সেন ছাড়াও মৎস্য দফতরের সচিব সৈয়দ আহমেদ বাবা, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।” অনুপবাবু আরও বলেন, “জেলা সভাধিপতি গাঁধী হাজরাকে টেলিফোন করেও না পেয়ে ২১ মার্চ ফ্যাক্স করি। তাতেও সাড়া পাইনি। সভাধিপতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুধু এটুকু বলতে পারি, এ জন্য আমি দুঃখিত ও সংস্থার অধিকর্তা হিসেবে মার্জনা চাইছি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.