আমতা বালিকা বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠা ১৯১২।
ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ২০০০।
মোট শিক্ষিকা ২৬ জন।
পার্শ্বশিক্ষক ৫ জন।
অশিক্ষক কর্মচারী ৩ জন।
২০১১ সালে মাধ্যমিকে পাসের হার ৯৯ শতাংশ।
২০১১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার ৯৮ শতাংশ।
|
|
|
সকলের ইতিবাচক ভূমিকায়
অগ্রগতি হয়েছে বিদ্যালয়ের
রীতা দে
(প্রধান শিক্ষিকা) |
|
দামোদর নদী এক দিকে। অন্য দিকে, খাল দিয়ে ঘেরা আমতা গ্রাম সেকালে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু তবুও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বাংলার রেনেসাঁর ঢেউ এখানে আছড়ে পড়েছিল। তার প্রমাণ ১৯১২ সালে আমতা গ্রামে বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। সে সময়ে এর নাম ছিল এডোয়ার্ড মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল। স্কুলটি প্রাথমিক ছিল। ষাটের দশকে স্কুলটির নাম হল আমতা বালিকা বিদ্যালয়। এখন বিদ্যালয়টিতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন হয়। বলা বাহুল্য, অসংখ্য শিক্ষানুরাগী স্থানীয় মানুষ, অভিভাবক এবং সরকারি অনুদানে স্কুল বাড়িটিরও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান বিদ্যালয় ভবনের দক্ষিণ দিকে রাস্তার ধারে একতলা একটা গৃহে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। কাঠের পার্টিশন দিয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলত। আর তার পাশেই টিনের ছাদের যে ঘরটি ছিল শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে তাকে ভেঙে নতুন অবয়ব দেওয়া হয়েছে। আজ বিদ্যালয়ের অট্টালিকা বিশাল। শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ঘর সব মিলিয়ে ২৮টি বিশাল কক্ষ। প্রসঙ্গত, এই বিদ্যালয় ভবনেই আমতা বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় সকালে পরিচালিত হয়। দিবাভাগে পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরস্পর বিচ্ছিন্ন। শুধু দেশেই নয়, বিদেশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছেন প্রাক্তনীরা। আমতা গ্রামের উন্নয়ন গত কয়েক দশক ধরে অশ্বগতিতে এগিয়ে চলেছে। সে জন্য আমতার জনগণের শিক্ষাসচেতনতা, আমতা স্কুলগুলির কর্মকাণ্ডের নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমতা বালিকা বিদ্যালয়েরও তাতে অংশ আছে। কোনও বিদ্যালয়কে সফল হতে গেলে তার শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, অশিক্ষক কর্মচারিবৃন্দ, পরিচালন সমিতি, অভিভাকবৃন্দ সকলেরই ইতিবাচক ভূমিকা থাকা দরকার। |
আমার চোখে
মোনালিসা চক্রবর্তী
(দশম শ্রেণিতে প্রথম) |
|
|
আমি এই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে ভর্তি হয়েছি। আমাদের স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষিকা ছাত্রীদের খুব ভালবাসেন এবং তাঁরা ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন। আমাদের স্কুলের পরিকাঠামো মোটামুটি। তবে আরেকটু উন্নতিসাধন হলে ভাল হত। আমাদের স্কুলের লাইব্রেরি ও ল্যাবেরটরি আরেকটু বড় ও উন্নত হলে ভাল হয়। আমি স্কুলটাকে নিজের বাড়ি বলে মনে করি। এই স্কুলটা যেন আমার জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে গেছে। এখানকার শিক্ষিকাদের দেখেই নিজেকে একজন আদর্শ শিক্ষিকা হিসাবে গড়ে তেলার স্বপ্ন দেখি। |