বাবার চায়ের দোকানের দখলদারিকে কেন্দ্র করে দুই ছেলের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে গোলমাল চলছিল। বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল বড় ছেলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে দোকান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ওই বৃদ্ধ। সোমবার তাঁর দেহ পাওয়া যায় বেলঘরিয়া ও দমদমের মাঝখানে রেললাইনের ধারে। বড় ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনেছেন মা।
মৃতের নাম পঞ্চানন নস্কর (৭২)। বাড়ি নিমতার সুভাষপল্লিতে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ট্রেনের ধাক্কাতেই পঞ্চাননবাবুর মৃত্যু হয়েছে। দমদম জিআরপি-তে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চাননবাবুর স্ত্রী কাননবালা নিমতা থানায় বড় ছেলে সুনীলের নামে বাবাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশি সূত্রের খবর, নিমতা বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে পঞ্চাননবাবুর চায়ের দোকান। দুই ছেলে সুনীল ও সুশীলকে দোকানে বসাতেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুনীল দোকানের টাকা থেকেই একটি মিনিবাস কেনেন। তার পরে দোকানের আয় থেকে আরও টাকা দাবি করছিলেন তিনি। কিন্তু পঞ্চাননবাবু ছোট ছেলে সুশীলকে দোকানটি দিতে চেয়েছিলেন। এই নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই পরিবারে তুমুল অশান্তি চলছিল। কাননবালাদেবীর অভিযোগ, পুরো বিষয়টিতে সুনীলের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাত রয়েছে। তিনি বলেন, “বড় ছেলে শ্বশুরবাড়ির মদতেই অত্যাচার করত ওর বাবার উপরে। মাঝেমধ্যে মারধরও করত। উনি আর ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে পারছিলেন না।”
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা তদন্ত শুরু করেছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।” |