প্রায় আট মাস ধরে কাউন্সিলর নেই আসানসোল পুরসভার ৬ এবং ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে। বন্ধ জঞ্জাল সাফাই থেকে নিকাশি। নতুন কাউন্সিলর নির্বাচিত না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। কবে ওয়ার্ড দু’টিতে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেননি আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দু’টি ওয়ার্ডেই নিয়মিত সাফাই হয় বলে দাবি করেন তিনি। |
আসানসোলের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বেহাল নিকাশি। |
মাস আটেক আগে মৃত্যু হয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (সাফাই) বিনয় সরকার এবং ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম মাজির। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এত দিন পেরিয়ে গেলেও নতুন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়নি। দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের আবেদনও করতে পারছেন না তাঁরা। বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও সমস্যার সমাধান মেলেনি।
মঙ্গলবার ওই দুই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নিকাশি ব্যবস্থা তথৈবচ। যত্রতত্র জমে রয়েছে আবর্জনার স্তুপ। রয়েছে পানীয় জলের অভাবও। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, “গত বার গরমে কাউন্সিলরের উদ্যোগে এলাকায় ট্যাঙ্কারে জল এসেছে। এ বার কি হবে জানি না।” বধূ অর্পিতা দত্ত বলেন, “এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ। কাউন্সিলর নেই। তাই এই সমস্যা জানোনার কোনও জায়গা নেই।” একই দশা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদেরও। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত পাল বলেন, “আমাদের কথা শোনার মত কেউ নেই। অথচ ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করার কথা ছিল।’’
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, কাউন্সিলর না থাকায় বিভিন্ন শংসাপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই করানোর জন্য মেয়রের কাছে যেতে হচ্ছে। বিপিএল তালিকার সংশোধন ও পরিমার্জন হচ্ছে না। বিএসইউপি প্রকল্পের কাজ হচ্ছে না। বিপিএল তালিকাভুক্তদের স্বাস্থ্যবিমার কার্ড হয়নি। অবিলম্বে ওই দু’টি ওয়ার্ডে নির্বাচন দাবি করেন তাঁরা। |
৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি বেহাল, জলসঙ্কটও তীব্র। |
আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। এখন কমিশনই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঠিক করবে।” প্রসঙ্গত, প্রয়াত মেয়র পারিষদ বিনয় সরকারের দফতরটি দেখাশোনা করছেন মেয়র নিজেই। তিনি দাবি করেন, ওই দু’টি ওয়ার্ডের সাফাই কাজ ঠিক মতোই করা হচ্ছে।
|
ছবিগুলি তুলেছেন শৈলেন সরকার। |