চোপড়ার নির্দল বিধায়ক হামিদুল রহমানকে ‘সহযোগী সদস্য’ (অ্যাসোসিয়েট মেম্বার) করল তৃণমূল। হামিদুল যে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, শুক্রবারই তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। শনিবার তাঁকে পাশে বসিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, “হামিদুলকে তৃণমূল পরিষদীয় দলের সহযোগী সদস্য করে নেওয়া হল। এখন থেকে উনি তৃণমূলের সব রকম কাজে অংশ নেবেন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে তা জানানোও হয়েছে। বামেদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে উন্নয়নের কাজে হামিদুলকে আমাদের পাশে পাব, আশা করছি।”
তবে প্রধান শাসকদলের সহযোগী সদস্য হলেও দলত্যাগ-বিরোধী আইন অনুযায়ী সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতকের কোনও ‘হুইপ’ মানতে হামিদুল বাধ্য নন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে তিনি বিধানসভা ভোটে জেতায় ফের কোনও ভোটে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীকে না-জেতা পর্যন্ত সেই দলের সদস্যপদ নিতে পারবেন না হামিদুল। হলে তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজ হয়ে যাবে। তাই সরাসরি তৃণমূলের সদস্যপদ দেওয়া হয়নি তাঁকে। তবে নির্দল হিসেবেই বিধানসভায় যে কোনও বিলের ভোটাভুটিতে তৃণমূলকে ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু না-দিলে দলের অন্দরে ‘ভর্ৎসিত’ করা যাবে না তাঁকে। তৃণমূল বা পরিষদীয় দলের কোনও পদে তিনি থাকতে পারবেন না। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে থাকলেও সেখানে কোনও ভোটাভুটিতে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন বা সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে দাবিও করতে পারবেন না। সেখানে তাঁর পরিচয় ‘নির্দল’ই।
কিছু দিন আগে প্রিয়রঞ্জন-জায়া দীপা দাশমুন্সির ‘ঘনিষ্ঠ’ হামিদুলকে নিজেদের দলে টানতে তাঁকে ‘সহযোগী সদস্য’ করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রতি ‘বিক্ষুব্ধ’ হামিদুল এ বার তৃণমূলের সহযোগী সদস্য হলেন। এতে তাঁর কী সুবিধা হল?
হামিদুল বলেন, “চোপড়ার গরিব মানুষ দু’বার নির্দল প্রতীকে জিতিয়েছেন। কংগ্রেসকে সমর্থন করতাম। কিন্তু কংগ্রেসের জেলা পরিষদ থাকা সত্ত্বেও আমার এলাকায় স্কুল-কলেজ নেই। প্রতি বছর বানভাসি হতে হয়। মানুষগুলোর আশা পূরণ করতে তৃণমূলে যোগ দিলাম।”
এই ব্যাপারে হামিদুলকে সব রকম সাহায্য করবেন, প্রকাশ্যেই এমন আশ্বাস দিয়েছেন পার্থবাবু। |