|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
১৮ মার্চ - ২৪ মার্চ |
|
দামাস্কাস ওয়াশিংটন লিসবন পিয়ংইয়ং/ওয়াশিংটন লন্ডন |
• আসমা আল-আসাদ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলিতে যেতে পারবেন না, ওই সব দেশে তাঁর যত সম্পত্তি আছে, তা আপাতত আটকে রাখা হবে, তিনি সেই সম্পদ ব্যবহার করতে পারবেন না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিরিয়ার স্বৈরতন্ত্রী প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ছত্রিশ বছর বয়সী স্ত্রী আসমার পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের পরিবারের এক ডজন সদস্যের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। লন্ডনে জন্ম হয়েছিল বলে আসমা অবশ্য ব্রিটিশ নাগরিক, তাই নিষেধাজ্ঞার পরেও ব্রিটেনে তাঁর প্রবেশাধিকার হয়তো বজায় থাকবে। হয়তো বা সেই অধিকার তিনি প্রয়োগও করবেন, কারণ স্বদেশে থাকলে শেষ পর্যন্ত যে মারি আঁতোয়ানেত-এর পরিণতি হবে না, এমন গ্যারান্টি কে দিতে পারে?
|
• উত্তর কোরিয়া যদি রকেট ‘লঞ্চ’ করে, তা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া হবে অত্যন্ত তীব্র, দক্ষিণ কোরিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে জানালেন মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রধান। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার রকেট-পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করার কথা।
• পর্তুগালে সরকারের ব্যয়সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হল ২১ মার্চ, বুধবার। স্কুল কলেজ শুনশান, জঞ্জাল পরিষ্কার হল না, বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ। তাও না কি ২০১০ ও ২০১১ সালের দুটি ধর্মঘটের তুলনায় এ বারের ধর্মঘটে কম মানুষ অংশ নিয়েছেন, বলছে সমীক্ষা।
• পাক সামরিক প্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি লন্ডন গেলেন। কেন? সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য বিধেয় সবই গোপন, তাই জল্পনাও তুঙ্গে।
|
• হিলারি ক্লিন্টন হবেন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী? নিউ ইয়র্কের সেনেটর গিলিব্যান্ড তেমনই জানালেন। হিলারি নিজে অবশ্য উড়িয়ে দিলেন: কোনও সম্ভাবনা নেই, তাঁর যেটুকু যা দেশের কাজ, তা হয়ে গিয়েছে, এখন কেবল ‘প্রাইভেট লাইফ’। তবে কি না, গুজব অটুট। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ওবামার কৃতিত্ব অনেকখানি। তাঁর জনপ্রিয়তা যত কমছে, হিলারির নামে গুজবের পাল্লা ততই জোরদার। |
|
টুলুজ ও প্যারিস |
পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে মারা গেল মহম্মদ মেরা। ফ্রান্সের পুলিশ তদন্ত করে দেখে, সাতটি খুনই এক পিস্তল থেকে হয়েছে, প্রতি ক্ষেত্রেই খুনি একটি স্কুটারে চেপে পালিয়েছে। আক্রান্তরা ইহুদি, ফলে প্রথমে অনুমান হয়েছিল, নব্য-নাতসিদের কাণ্ড। কিন্তু, ইন্টারনেটে তদন্ত চালিয়ে মেরা-র নাম উঠে আসে। ২৩ বছর বয়সী এই যুবক নিজেই জানায়, আল কায়দা-র আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সে মোট সাতটি খুন করেছে। নিজেই প্রতিটি হত্যার ভিডিয়ো ইউটিউবে আপলোড করেছে। ফ্রান্সে বোরখা নিষিদ্ধ করা এবং প্যালেস্টাইনে মুসলমান শিশুদের উপর অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতেই সেই এই কাজ করেছে বলে জানায়। দুনিয়া জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করে মেরা। পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যুর পর নিকোলাস সারকোজি জানিয়েছেন, যে কোনও রকম উগ্রপন্থাকেই কড়া হাতে সামলানো হবে। |
তেহরান |
এই সবে জেল থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি, যদিও বন্দিত্ব তখনও ঘোচেনি। গৃহবন্দি ছিলেন। গৃহবন্দি অবস্থাতেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে মোবাইল ফোনে টুকটাক ছবি তুলে এক আশ্চর্য সিনেমা বানিয়ে ফেলেছিলেন: নাম, দিস ইজ নট আ ফিল্ম। কর্তৃপক্ষ ঠিকই ধরে ফেলল আবার। আবার জেলে ইরানি চিত্রপরিচালক জাফর পানাহি। এ বার ছয় বছরের জেল। কুড়ি বছরের জন্য সিনেমা-সম্পর্কিত সব কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা, বিশেষত চিত্রনাট্য লেখা একেবারে বন্ধ। একটিই কথা এর পর বলার থাকতে পারে: কী দুর্ভাগা সেই দেশ, যাকে এত ভয় পেয়ে চলতে হয়!
|
সানফোর্ড ও ওয়াশিংটন |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লরিডা রাজ্যের সানফোর্ড শহরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত্রে সতেরো বছরের কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ ট্রেভন মার্টিনকে গুলি করে হত্যা করে আটাশ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ নৈশপ্রহরী জর্জ জিমারম্যান। প্রহরীর বক্তব্য, সে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু ট্রেভন নিরস্ত্র ছিল। তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মন্তব্য করেছেন, ‘আমার যদি ছেলে থাকত, তাকে ট্রেভনের মতো দেখতে হত।’ অতঃপর অনিবার্য বাদপ্রতিবাদ। অনেকে প্রেসিডেন্টের সমব্যথী মনোভাবের পরিচায়ক বলে প্রশংসা করেছেন, কিন্তু অন্য অনেকের মতে, এতে কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের অন্তর্নিহিত ‘বর্ণবিদ্বেষ’ ধরা পড়েছে। কে সত্য? সত্য কাকে বলে? সৌন্দর্যের মতোই, সত্যের বসতিও অনেক সময়েই দ্রষ্টার চোখে।
|
সালিসবারি (কানেকটিকাট) |
যতই তিনি তিন বার অস্কার পাওয়া অভিনেত্রী হোন, পড়শিরা মোটে সহ্যই করতে পারেন না মেরিল স্ট্রিপকে। কানেক্টিকাটের ছোট শহর সালিসবেরি-র বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিবেশী হিসেবে মেরিল স্ট্রিপ জঘন্য, দাম্ভিক। অন্য বাসিন্দাদের নাকি মানুষই মনে করেন না, মেয়ের স্কুলের অন্য অভিভাবকদের সঙ্গে কথাও বলতেন না। এক জন বলেছেন, ‘পাশাপাশি থাকি, কিন্তু আমার নামটুকু জানারও আগ্রহ নেই মহিলার!’
|
শেষ পাত |
‘সরকারের বিরুদ্ধে লিখলে মেরে হাড় গুঁড়ো করে দেব!’ গুণ্ডাবাহিনীর সর্দারের নয়, উক্তিটি শ্রীলঙ্কার জনসংযোগ দফতরের মন্ত্রী মারভিন সিলভা-র। হুমকিটি সাংবাদিকদের উদ্দেশে। শ্রীলঙ্কার মহীন্দ্র রাজাপক্ষ-র সরকার এখন ‘বিশ্বাসঘাতক’-দের খোঁজে ব্যস্ত। সিলভা জানিয়েছেন, ২০১০ সালে তিনিই সাংবাদিক পোড্ডোলা জয়ন্ত-কে পিটিয়ে দেশছাড়া করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। অবশ্য, সে তদন্ত কেমন হবে, তা নিয়ে কারও মনেই সংশয় নেই। শ্রীলঙ্কার অবস্থা এখন মারাত্মক। রাষ্ট্রপুঞ্জও সে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বাড়াবাড়িতে উদ্বিগ্ন। |
|
|
|
|
|