নাচিতে নামিয়া ঘোমটা টানা শাস্ত্রবিরুদ্ধ। কিন্তু, আই পি এল আর কবে শাস্ত্রের তোয়াক্কা করিয়াছে? ফলে, কলিকাতা নাইট রাইডার্স স্থির করিল, এই দফায় আর স্বল্পবসনা তরুণীরা নহে, শাড়ি-পরিহিত মহিলারা ঢাকের বোলে মাঠে উল্লাসবালিকার কাজ করিবেন। চিয়ারলিডারের কাজ নাচা। আর, শাড়ি ছাড়া ঘোমটা টানা দুষ্কর। কাজেই, নাচ ও ঘোমটার শাস্ত্রবিরুদ্ধ সহাবস্থানের ব্যবস্থা হইল। অবশ্য প্রশ্ন হইল, এই সহাবস্থানে লাভ কাহার? নাইট রাইডার্স দলটি গত চার বৎসরে যেমন খেলিয়াছে, তাহাতে আবারও সেই দলের খেলা দেখিতে যাওয়ার মতো ক্রীড়ামোদীর সংখ্যা কত? তবে মানুষ মাঠ ভরাইবেন কীসের টানে? ঢাকের বাদ্য? তাহা থামিলে মিষ্ট লাগে বটে, কিন্তু মাঠে তো সেই সেই বাদ্য থামিয়া থাকিবে না। ইডেন গার্ডেনস-এর পরিকাঠামোর টানে মানুষ মাঠমুখী হইবেন, এমন কথা ভাবিতেও বুক কাঁপা স্বাভাবিক। টান ছিল একমাত্র চিয়ারলিডারদেরই। তাঁহাদের যৌবনজলতরঙ্গের, প্রাণচাঞ্চল্যের, নির্ভার অস্তিত্বের টান। মাঠে তাঁহাদের নাচ দেখিলে বোধ হইত, জীবন বুঝি এই ভাবেই উপভোগ করিবার আনন্দের অবকাশমাত্র তাহা উদ্যাপন করাই বুঝি ভাল থাকিবার দর্শন। বঙ্গবেশী তরুণীদের সলজ্জ উপস্থিতি সেই আনন্দের উদ্যাপনের মাহাত্ম্য অক্ষুণ্ণ রাখিবে কি? |