শনিবার নাগেরবাজার উড়ালপুলের উদ্বোধন করে বিতর্ক তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন (জেএনএনইউআরএম)-এর অনুমতি ও আংশিক আর্থিক সহায়তায় ওই উড়ালপুল নির্মিত হয়েছে। অথচ এ দিন সরকারি বিজ্ঞাপন ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে জেএনএনইউআরএম-এর নামই উচ্চারিত হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন নগরোন্নয়নমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর আরও অভিযোগ, “আমাদের আমলেই ওই উড়ালপুলের ৯০% কাজ হয়ে গিয়েছিল। অথচ এমন ভাবে বলা হচ্ছে যেন মনে হবে এই সরকারের আমলেই উড়ালপুলটি নির্মিত হয়েছে।” যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, তখন ৩০% কাজ হয়েছিল। এক বছরের মধ্যে বাকি ৭০% কাজ শেষ করা হয়েছে।”
সরকারি সূত্রের খবর, ২০০৯ সালে এই উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। |
উদ্বোধনের পরে নাগেরবাজার উড়ালপুল। ছবি: দেবাশিস রায় |
তৃণমূল সাংসদ ও হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)-এর চেয়ারম্যান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উড়ালপুলটি ১১৬৬ মিটার লম্বা এবং ৬০ মিটার চওড়া। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্র ১৭ কোটি, রাজ্য ৫১ কোটি, এইচআরবিসি ২৯ কোটি এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভা ১০ কোটি টাকা দিয়েছে। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে উড়ালপুলের একটি ঢাল দমদম রোডের সঙ্গে যুক্ত হবে।” এ প্রসঙ্গে অশোকবাবুর অভিযোগ, “উড়ালপুলের এখনও ৪০০ মিটারের কাজ বাকি। সব কাজ শেষ হতে ২০১৩ সাল হয়ে যাবে। তবু তড়িঘড়ি উদ্বোধন করে দেওয়া হল।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বছর রামকৃষ্ণের জন্মের ১৭৫-তম বছর চলছে। সে কথা মাথায় রেখেই এই উড়ালপুলের নাম রাখা হবে ‘রামকৃষ্ণ পরমহংস’। কাশীপুর উদ্যানবাটীর সামনের রাস্তাও রামকৃষ্ণের নামে হবে। দমদমকে ঘিরে এক গুচ্ছ উন্নয়নের কথাও বলেন তিনি। ইতিমধ্যেই দমদম-দক্ষিণেশ্বর, দমদম-বিমানবন্দর-বারাসত, দমদম-ব্যারাকপুর মেট্রোর কাজ শুরু হয়েছে। পাতিপুকুরে আন্ডারপাস এবং কেষ্টপুরে উড়ালপুলের কাজ শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের উড়ালপুলের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, “দমদমের মানুষের জন্য ৩১২ কোটি টাকা খরচ করে পানীয় জলের প্রকল্প করা হচ্ছে।” এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মুকুল রায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র, দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান অঞ্জনা রক্ষিত-সহ বিশিষ্টজনেরা। |