অদ্ভুত সমাপতন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে পাখির চোখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারের বাজেটেই এই খাতে বরাদ্দ এক লাফে বেড়েছে ১০৪ শতাংশ। আর সে দিনই এ রাজ্য পাশে পেল দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থাগুলিকেও। পশ্চিমবঙ্গ-সহ উত্তর -পূর্বাঞ্চলে পর্যটনের প্রসারে অ্যাসো- সিয়েসন অফ ডোমেস্টিক ট্যুর অপারেটর্স অফ ইন্ডিয়া (এডিটিওআই) এখানে পৃথক দফতর (চ্যাপ্টার) খুলল। জম্মু-কাশ্মীর, কেরল ও গুজরাতের পর এডিটিওআই এ রাজ্যকেই বেছে নেওয়ায় বোঝা যায়, পশ্চিমবঙ্গ-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল তাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বৈচিত্রের অভাব না-থাকলেও বিপণন ব্যর্থতায় গোটা দেশের সামনে পর্যটন সম্ভারকে তুলে ধরতে পারেনি এ রাজ্য। এডিটিওআই-এর প্রেসিডেন্ট সুভাষ বর্মার অভিযোগ, কেরল বা গুজরাতের মতো এ রাজ্য পর্যটক টানতে উদ্যোগী ছিল না। অথচ ২ কোটিরও বেশি মানুষ এ রাজ্যে বেড়াতে আসেন। পরিকাঠামো ও প্রচার থাকলে ওই সংখ্যা বহুগুণ বাড়তে পারে বলে তাঁর দাবি।
উল্লেখ্য, পর্যটনের প্রসারে বণিকসভা ফিকি ও সিআইআই-এর সঙ্গে সম্প্রতি দীর্ঘ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। পর্যটন উৎসব হয়েছে দিঘা ও শিলিগুড়িতেও।
এডিটিওআই-এর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটন সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ এবং রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের এমডি পৃথা সরকার। জাতীয় স্তরে পশ্চিমবঙ্গ এ ভাবে গুরুত্ব পাওয়ার বিষয়টি রাজ্যে পর্যটন শিল্পের প্রসারে অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করেন তাঁরা। এডিটিওআই-এর পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল শাখার নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান দেবজিৎ দত্তের দাবি, দার্জিলিং, সিকিম বা শান্তিনিকেতনের মতো কয়েকটি জায়গা ছাড়া গোটা দেশের কাছে রাজ্যের বেশির ভাগটাই অজানা। যেমন অজানা অসম বা মেঘালয় ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গাও। তিনি বলেন, “সার্বিক ভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে গোটা দেশের কাছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ এই অঞ্চলকে তুলে ধরতেই কাজ করব আমরা।” |