|
|
|
|
ধনপতনগরে মিলল নিখোঁজ ছাত্রীর দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
নিখোঁজ এক স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রঘুনাথপুরের ইমামনগরের বাসিন্দা সোমালি খাতুন (১৩) নামে ওই কিশোরী মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার ধনপতনগর মাঠের মধ্যে পোঁতা সোমালির দেহটি দেখতে পান স্থানীয় রা। পুলিশ জানিয়েছে, মাঠে একটি গর্ত করে দেহের খানিকটা অংশ পোঁতা ছিল। পুলিশের অনুমান, মাঠটি জনশূন্য হওয়ায় সম্ভবত গত চার দিনে মৃতদেহের দিকে কারও নজর পড়েনি। সোমালির গায়ে অ্যাসিডের পোড়া দাগ রয়েছে বলেও পুলিশ জানায়।
|
সোমালি খাতুন। |
শুক্রবার ওই কিশোরীর বাড়িতে ঘটনার তদন্তে যান জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “গলায় ওড়নার ফাঁস জড়িয়ে ওকে খুন করা হচ্ছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। দেহটির বেশ অনেকটাই পচে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মেয়েটির উপরে নির্যাতন চালানো হয়েছে। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মিঠিপুরের এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হলেও তাকে ধরা যায়নি। সোমালি স্থানীয় সেকেন্দ্রা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সোমালির মা কুলসুম বিবি বলেন, “মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ে টিউশনি পড়তে গিয়েছিল নবকান্তপুরের এক শিক্ষকের বাড়িতে। আর ফেরেনি। এর পরেই খোঁজ খবর করতে শুরু করি। পরের দিনই রঘুনাথগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।” সোমালির বাবা মরজেম শেখ বলেন, “খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সোমবার বিকেলে মিঠিপুরের একটি ছেলের সঙ্গে সাইকেলে চড়ে দেখতে পাওয়া গিয়েছে সোমালিকে। ছেলেটি বিবাহিত। ওর একটি মোবাইলের দোকান রয়েছে নবকান্তপুর মোড়ে। টিউশনি যাওয়ার সময়ে আমার মেয়েকে ও মাঝে মধ্যেই বিরক্ত করত। এক আত্মীয়ের সূত্রে ওই ছেলেটিকে আমরা বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু ও কথা শোনেনি। মেয়ের কোনও খোঁজ না পেয়ে আমরা ওই ছেলেটিকেও জিজ্ঞাসা করেছি। এর পরে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দিই। আজ মেয়ের দেহ পাওয়া গিয়েছে।” |
|
|
|
|
|