টুকরো খবর
জোড়া খুনে যাবজ্জীবন
প্রকাশ্য দিবালোকে দুই ভাইকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সৌমেন্দ্রনাথ দাস। শুক্রবার তিনি সাজা ঘোষণা করেন। ১৯৯৪ সালের ১০ জানুয়ারি কৃষ্ণনগর শহরের ভেতর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে জনবহুল এলাকায় একটি মিষ্টির দোকানের মালিক চার ভাইকে নৃসংশভাবে কোপানো হয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাচ্চু ঘোষ ও মিন্টু ঘোষ নামে দুই ভাইয়ের। বাকি দুই ভাই অশোক ঘোষ ও খোকন ঘোষকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে তাঁরা বেঁচে যান। ঘটনার পরে নিহতদের খুড়তুতো ভাই গোপীনাথ ঘোষ ন’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের এক জন ঘটনার পর থেকেই পলাতক। বিচার চলাকালীন মারা যান দু’জন। বাকি ৬ অভিযুক্ত শ্যামল চক্রবর্তী, চৈতন্য ঘোষ, প্রদীপ বিশ্বাস, সুভাষ সরকার, লিটন মজুমদার ও গৌর ঘোষকে বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রদীপকুমার সরকার জানান, ঘটনার দিন সকালে নোংরা জল ফেলা নিয়ে এক ভাইয়ের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পাশের দোকানের মালিক শ্যামল চক্রবর্তীর। তার জেরেই শ্যামল চক্রবর্তী লোকজন নিয়ে আচমকা হামলা চালান। দোকানে তখন চার ভাইই ছিলেন। প্রত্যেককেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। প্রদীপবাবু বলেন, “ব্যবসা সংক্রান্ত প্রতিহিংসার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছিল।” অভিযোগকারী গোপীনাথ ঘোষ বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি চার ভাইকে ওরা কোপাচ্ছে। সকলের চোখের সামনেই নৃসংশ ভাবে খুন করল ওরা। তবে রায় শুনে আমরা খুশি।” তবে দোষী শ্যামল চক্রবর্তীর আইনজীবী দেবাশিস রায় বলেন, “এই রায় কখনোই মানা যায় না। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।”

মৃতদেহ উদ্ধার
এক মহিলার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতার নাম লতিকা পাল (২১)। বাড়ি কানাইখালিতে। মাসখানেক আগে লতিকার স্বামী মহাদেব পাল মারা যান। ঘটনার পর থেকে লতিকার দেওর পলাতক। মৃতার শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে পাপাই দাস (২৫) নামে এক যুবকের। শান্তিপুর শ্মশানের কাছে ভাগীরথীর ধারে তাঁর দেহ মেলে।

চাকদহে চুরি
একটি বাড়ি থেকে সোনার গয়না, নগদ টাকা চুরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে চাকদহের নরেন্দ্রপল্লিতে অশোক রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরি হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দিন রাতে কয়েক জন দুষ্কৃতী অস্ত্র নিয়ে অশোকবাবুর বাড়িতে ঢোকে। প্রথমে ভাড়াটেদের ঘরে লুঠপাট চালায়। অশোকবাবুদের ঘরে গিয়েও মারধর ও লুঠপাট চালায়। ডাকাতেরা বোমা ফাটিয়েছে বলেও খবর।

পুত্রহন্তা বাবার যাবজ্জীবন
ঘটনার মাত্র ১৯ মাসের মধ্যে বিচার পর্ব শেষ করে ছেলে খুনের অপরাধে বাবাকে সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন বহরমপুর জজকোর্টর চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। ২০১০ সালের ১৮ জুলাই রাতে দৌলতাবাদ থানার নয় মাইল গ্রামের ২৭ বছরের মানিক দাসকে খুন করে তাঁর বাবা নরেন দাস। ওই অপরাধে বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস শুক্রবার নরেন দাসের যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড দেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী আরিফুজ্জামান বলেন, “প্রতি রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে রিকশাচালক নরেন বাড়ির লোকজনকে মারধর করত। তার প্রতিবাদ করায় মানিককে খুন হতে হয়েছে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়।”

সন্ন্যাসীর কারাদণ্ড
বছর আটেকের দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা ও তাদের শ্লীলতাহানি করার অপরাধে এক প্রৌঢ় সন্ন্যাসীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন লালবাগের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক শোভনকুমার মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি ওই সাজা ঘোষণা করেন। আজিমগঞ্জের শ্মশানের বাসিন্দা ওই সন্ন্যাসীর নাম গুরুপদ মণ্ডল। সরকার পক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক ফিটু বলেন, “ওই নাবালিকা দু’টির বাড়ি আজিমগঞ্জের শ্মশান লাগোয়া এলাকায়। ওই দুই শিশুর উপর জঘন্য অপরাধ ঘটানোয় বিচারক প্রথমে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। সাজা শুনেই ওই সন্নাসী এজলাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকে। তার ওই অনুতাপের কারণে বিচারক ২ বছর সাজা কমিয়ে দেন।”

অস্বাভাবিক মৃত্যু
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে শিখা বিশ্বাস (২৫) নামে এক মহিলার। বাড়ি নদিয়ার ধানতলার নতুনগ্রামে। বাড়ির পিছনে একটি গাছের নীচ থেকে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই শিখাদেবীর স্বামী রামকুমার বিশ্বাস পলাতক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। এ দিন সকালে বাসিন্দারা দেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। তবে শিখাদেবীর শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

বাড়িতে চুরি
একটি বাড়ি থেকে সোনার গয়না, নগদ টাকা-সহ আরও নানা জিনিস চুরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে চাকদহের নরেন্দ্রপল্লিতে অশোক রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরি হয়। অশোকবাবু অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাতে কয়েক জন দুষ্কৃতী অস্ত্র নিয়ে অশোকবাবুর বাড়িতে ঢোকে। প্রথমে ভাড়াটেদের ঘরে লুঠপাট চালায়, সবাইকে একটা ঘরে আটকে রাখে। তারপর অশোকবাবুদের ঘরে গিয়ে মারধর ও লুঠপাট চালায়। চলে যাওয়ার সময় ডাকাতেরা বোমা ফাটিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.