তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার জয়পুর এবং হুগলির দাদপুরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়পুরের কারকবেড়িয়া হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি দিলীপ খাঁয়ের উপর দলের ব্লক সম্পাদক রবিউল মিদ্যার লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দিলীপবাবু পায়ে চোট পান। তাঁকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
দিলীপবাবু বলেন, “স্কুল ভোটের জন্য প্রার্থী ঠিক করতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে রবিউলের লোকজন লাঠি নিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। ভোটে প্রার্থী দিলে খুনেরও হুমকি দেয়।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রবিউল। তাঁর দাবি, “দিলীপবাবুর পরিচিতেরাই ওঁকে মারধর করেছেন। আমার নাম মিথ্যা জড়ানো হচ্ছে।”
বিধানসভা ভোটের পরে দাদপুরে সিপিএম ছেড়ে অনেকেই তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে প্রাক্তন সিপিএম নেতা জয়দেব খাঁ-ও রয়েছেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, নতুন যোগ দেওয়া ওই সদস্যদের সঙ্গে দলের পুরনো সদস্যদের ‘বনিবনা’ হচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ জয়দেবের লোকজন দলের একটি পুরনো কার্যালয়ে ঢুকে পোলবা-দাদপুর ব্লকের মাকালপুর পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অরূপ খাঁ ও তাঁর অনুগামীদের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষে মারামারি হয়। দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ জানায়। পুলিশ অরূপবাবু-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। অরূপবাবুকে পুলিশ ‘অন্যায় ভাবে’ ধরেছে, এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার দাদপুর থানা ঘেরাও করেন এক দল তৃণমূূল কর্মী-সমর্থক। পুলিশ থানা থেকেই ওই নেতাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিলে ঘেরাও ওঠে। অরূপবাবুর বক্তব্য, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” একই দাবি জয়দেববাবুরও। |