চলন্ত ট্রেন থামিয়ে রেল লাইনের ধারে আহত অবস্থায় পড়ে থাকা এক মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করালেন গ্রামবাসীরা।
শুক্রবার সকালে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-ক্যানিং শাখার ক্যানিং রেলগেটের কাছে আমড়াবেড়িয়া গ্রামের কিছু বাসিন্দা ওই কাণ্ড ঘটান। নমিতা দাস নামে বছর চল্লিশের ওই মহিলাকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর বাড়ি ঘুটিয়ারি শরিফের বাঁশড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনে করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু কী ভাবে লাইনে পড়ে গেলেন, সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
এ দিন ওই ঘটনার পরে সোনারপুর রেল পুলিশের অফিসারেরা ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কী ভাবে ওই মহিলা ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসআরপি (শিয়ালদহ) তাপসরঞ্জন ঘোষ বলেন, “এ রকম একটি ঘটনা আমরা শুনেছি। অফিসাররাও তদন্ত করে জেনেছেন। তবে এ ব্যাপারে রেল পুলিশকে লিখিত ভাবে কিছু জানানো হয়নি।” |
নমিতাদেবী কলকাতার কোলে মার্কেটে একটি ফলের দোকানে কাজ করেন। প্রতিদিন শিয়ালদহ থেকে ছাড়া রাত ৯.৪২ মিনিটের ক্যানিং লোকাল ধরে ফেরেন। বৃহস্পতিবারও ফিরছিলেন। তাঁর কথায়, “ট্রেনে উঠে দরজার কাছে বসেছিলাম। ট্রেন কিছু ক্ষণ চলার পরেই ঘুম পেয়ে যায়। তার পরে আর কিছু মনে নেই। সকালে জ্ঞান ফিরতে দেখি রেল লাইনের ধারে পড়ে রয়েছি।” দরজার ধারে ঘুমিয়ে পড়ার জন্যই তিনি পড়ে গিয়েছিলেন, নাকি তাঁকে কেউ ফেলে দিয়েছিল, সে ব্যাপারে অন্ধকারে ওই মহিলা। রেললাইনের ধারেই বাস আমড়াবেড়িয়া গ্রামের সেলিম মোল্লা, নুরবক্স মোল্লাদের। এ দিন সকালে নমিতাদেবীকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁরা এগিয়ে যান। সেলিমের কথায়, “মহিলার মাথার এক দিক ফেটে গিয়ে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। আমাদের দেখে মনে হয়েছিল তখনই চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতাল অনেক দূরে। তাই লাল কাপড় নেড়ে সকাল সাড়ে ৬টার শিয়ালদহ লোকাল থামাই।” গ্রামেরই কয়েক জন ওই মহিলাকে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সমস্যার কথা ক্যানিং রেল স্টেশনে জানানো হলেও কোনও সাহায্য মেলেনি। এ ব্যাপারে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী জানিয়েছেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। |