|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
বর্ণময় ও মর্মস্পর্শী |
অম্বালী প্রহরাজ |
সম্প্রতি সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির উদ্যোগে পাঁচ দিনের উৎসবে ছিল চারটি নৃত্যনাট্য। বিদায় অভিশাপ, তাসের দেশ, চিত্রাঙ্গদা এবং চণ্ডালিকা। মণিপুর ডান্স অ্যাকাডেমি মঞ্চস্থ করল মণিপুরী শৈলীতে বিদায় অভিশাপ। আধ্যাত্মিক গুরুদায়িত্ব এবং পার্থিব ভালোবাসার মধ্যে যে দ্বন্দ্ব কবিতাটিতে পাওয়া যায় সেটিকে সুন্দরভাবে মঞ্চে চিত্রায়িত করেছেন এন. আমুসালা দেবী। ভগ্নহৃদয়ে দেবযানী যখন তার প্রেমপুরুষকে অভিশাপ দেয় সেই দৃশ্যটি জিতেন সিংহ এবং জি. চন্দনদেবীর অভিনয়গুণে মর্মস্পর্শী হয়ে ওঠে। পরের দিন ছিল গুয়াহাটির ‘চণ্ডালিকা’। বর্ণময় ও মর্মস্পর্শী প্রযোজনা। পরিচালনায় যতীন গোস্বামী। উৎসবের শেষ দিনে মঞ্চস্থ হয় দিল্লির কত্থককেন্দ্র রেপারটরির ‘চিত্রাঙ্গদা’। পরিচালনায় গীতাঞ্জলি লাল। কবি নিজে যে সকল নৃত্যশৈলীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন এবং তাঁর শিল্পকর্মের মধ্যে প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন, তার মধ্যে কত্থকশৈলীর উল্লেখ সে ভাবে পাওয়া যায় না। সে দিক থেকে চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যে কত্থক আঙ্গিক প্রয়োগের জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ। ‘গুরু গুরু ঘন মেঘ’ গানটির সঙ্গে প্রচলিত বেড়া ভেঙে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি নৃত্যরচনা করেছেন।
|
মাত করল ওপার বাংলা |
অবন বসু |
সম্প্রতি বারাসতে স্থানীয় নানা নাট্যদলের সঙ্গে মিলিত হয়েছিল ঢাকা, বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাট্যসংস্থা শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র। হৃদয়পুর সমস্বর নাট্যদল আয়োজিত দুই দিন ব্যাপী এই নাট্যোৎসবের দ্বিতীয় রজনীই ছিল প্রযোজনার দিক থেকে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। খোরশেকুল আলমের পরিচালনায় বাংলাদেশের শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র পরিবেশিত ‘ঠিকানা’ নাটকটি এ দিন তুমুল প্রশংসা আদায় করে নেয় দর্শকদের থেকে। এ ছাড়াও প্রশংসিত হয় আয়োজক সংস্থা সমস্বর-এর প্রযোজনায় পার্থসারথি সেনগুপ্ত পরিচালিত ‘শেষের সেদিন’ নাটকটি। আয়োজক সংস্থাটি অবশ্য প্রশংসার যোগ্য অন্য একটি কারণেও বাংলাদেশের দৃষ্টিহীন সঙ্গীতশিল্পী তন্ময় গোস্বামীকে এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই নানা অনবদ্য লোকসঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ করে দেওয়ায়। |
|
|
|
|
|