সংকট ও সঙ্গীত। মাঝখানে কোথায় যেন এক গভীর শূন্যতা। পৃথিবী জুড়ে সংকট বাড়ছে তা সে সন্ত্রাস হোক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। বাড়ছে অত্যাচার, অনাচার, ভ্রষ্টাচার। প্রভাব পড়ছে পরবর্তী প্রজন্মেও। এই সংকোটমোচনের লক্ষ্যে সঙ্গীতকে হাতিয়ার করলে কেমন হয়? সঙ্গীতই তো পৃথিবীর সব মানুষের কাছে এখনও সমান গ্রহণীয়। এমনই ভাবনা-চিন্তায় এই কলকাতাতেই শুরু হচ্ছে ‘সংকটমোচনের লক্ষ্যে সঙ্গীতের প্রয়োগ’। যা শুধু নতুন উদ্যোগ নয়, বেশ অভিনব। রাগ-অনুরাগ মিউজিক রিসার্চ অ্যাকাডেমির এই চিন্তাধারা কলকাতাতে শুরু হলেও পরবর্তীতে পৌঁছে যাবে বিভিন্ন শহরে। তারও পরে বিদেশের বেশ কিছু নির্বাচিত শহরে। সঙ্গীতের মাধ্যমে সংকটমোচনের এই বার্তা বিদেশেও ইতিমধ্যে পৌঁছেছে, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই বিদেশের কয়েকটি শহর থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। |
মাত্র আড়াই ঘন্টায় শোনা যাবে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রণ এবং রবীন্দ্রকবিতা ও কণ্ঠের যুগ্ম মিলন।
কিন্তু কেন এই নতুন চিন্তাধারা? “যে কোনও অস্থিরতা মোচনে সংগীত বড় ভূমিকা নেয়। শুধু এ দেশে নয়, পাশ্চাত্যেও পরীক্ষামূলক ভাবে তা প্রমাণিত। নতুন প্রজন্মের কাছে তা আরও বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। সপ্তসুরকে মেলাতে চেষ্টা করেছি এই সংকলনে।” এমনই দাবি মূল উদ্যোক্তা স্মৃতি লালার। এখানে সপ্তসুর মানে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রকেও সংযোজন করা হয়েছে। হারমোনিয়াম, তবলা, তানপুরা, বেহালা, সরোদ, গিটার, সেতার, বাঁশির হারমোনি।
বৈশাখের দ্বিতীয় দিনে এমনই এক প্রয়াসের শুভ-সূচনা জি ডি বিড়লা সভাঘরে। কয়েক জন প্রবীণ শিল্পীর মতে, সংগীত নিয়ে এমন চিন্তাভাবনা শিল্পীকুলকে গর্বিত করছে।
|
শুনতে হলে |
|
রাইকৃষ্ণ পদাবলী: |
হৈমন্তী শুক্লের পরিচালনায়
মিউজিক্যাল অপেরা।
সিডি। রাগা। |
|
|
হিয়ার মাঝে: |
রবীন্দ্রসঙ্গীত স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তের
কণ্ঠে। ১৫টি গান। সিডি।
এন ভি ডি মিউজিক। |
|
|
আনন্দ বসন্ত সমাগমে: |
রবীন্দ্রসঙ্গীত সোনালীর কণ্ঠে।
১২টি গান। সিডি।
প্রাইম মিউজিক। |
|
|
আমার যাবার বেলাতে: |
চৈতালী দাশগুপ্তের পরিচালনায়
গান ও পাঠের সংকলন।
সিডি। শ্রাবস্তী। |
|