|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন... |
|
আমাদের সময় এসে গেছে |
কলকাতায় বসেই হিন্দি ছবি তৈরির।
লিখছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় |
কয়েক বছর ধরে লক্ষ করছি, কলকাতার সিনেমা, কলকাতার অভিনেতাদের প্রতি বলিউডের সম্মান বাড়ছে। কিন্তু ‘কহানি’র পর সেই সম্মানটা যেন একটা অন্য পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
গত সপ্তাহে ‘ফিকি ফ্রেমস’য়ে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলাম। সেখানে কর্ণ জোহর, রমেশ সিপ্পির মতো বলিউডের তাবড়দের কাছ থেকে দারুণ সম্মান পেলাম।
কর্ণ জোহরের মতো পরিচালক আমায় জিজ্ঞেস করছেন, “আচ্ছা, টালিগঞ্জে কি কোনও খারাপ অভিনেতা নেই? সবাই দুর্দান্ত?” উত্তরে কী বলব, বুঝতে পারিনি। আশুতোষ গোয়াড়িকর বলছেন ওঁর মতে উৎপল দত্তের পর শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ‘বব বিশ্বাস’ হিন্দি ছবিতে কোনও বাঙালি চরিত্রাভিনেতার সেরা অভিনয়।
যে দিন মুম্বইয়ে ল্যান্ড করলাম, ‘কহানি’র পরিচালক সুজয় ঘোষ আমার জন্য একটা ট্রায়াল শো’র ব্যবস্থা করেছিল। ছবিটা দেখে আমি বাকরুদ্ধ! ট্রায়াল শোর পরই আমি পরমকে বলি এটাই ওর সেরা অভিনয়। আর অসামান্য অভিনয়ের জন্য বিদ্যা বালনকে কনগ্র্যাচুলেট করার সময় ও বলল আমার সঙ্গে কাজ করার জন্য ও দিন গুনছে।
লোকে কী ভাববে জানি না, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে বাঙালি প্রতিভাদের নিয়ে মাতামাতির জন্য টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রির সুজয়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। সুজয় যে ভাবে কলকাতার অভিনেতাদের ব্যবহার করেছে, দেখে চোখের জল আটকাতে পারিনি। আজকে শাশ্বত, পরমকে নিয়ে বলিউডের সবাই হইহই করছে ওই ছবিটার জন্যই।
বেশ কিছু দিন ধরেই বলে আসছি টালিগঞ্জে বসে হিন্দি ছবি তৈরির সময় এসে গেছে। আজকে সুজয় ঘোষ দেখিয়ে দিল সেটা সার্থকভাবে করা যায়। এখান থেকে ব্যাপারটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের। একটা আঞ্চলিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সব সময়ই অনিশ্চয়তায় ভোগে। কারণ বাজারটা ছোট। কিন্তু সেটাকেই যদি জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা হলে বাজার তো বাড়বেই, সঙ্গে বাড়বে সকলের রোজগার। এটাই কিন্তু সোনালি সুযোগজাতীয় স্তরে পৌঁছে যাওয়ার।
কেন ‘২২শে শ্রাবণ’-এর মতো ছবি হিন্দিতে তৈরি হবে না? আমায় কাস্ট করতে হবে না, মুম্বইয়ের কাউকে হিরো করুন, কিন্তু ওই রকম একটা স্ক্রিপ্ট নিয়ে ছবি তো করুন! ছয় থেকে আট কোটি টাকার ছবি তো কলকাতার প্রযোজকরা বানাতেই পারেন। ওটাই কিন্তু ‘কহানি’র বাজেট ছিল।
বিদ্যা, সুজয় আর ‘কহানি’ আমাদের হাতে একটা সোনালি সুযোগ এনে দিয়েছে। আসুন আমরা সবাই মিলে ভবিষ্যতের ছকটা ঠিক করে ফেলি।
কলকাতায় বসে হিন্দি ছবি বানানো শুরু করি। সময় এসে গেছে। লেটস ডু ইট, নাউ! |
|
|
|
|
|