টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসাবে সুব্রত ভট্টাচার্যকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল মোহনবাগান। সামনের মরসুমে বদলানো হচ্ছে না কোচও। থেকে যাচ্ছেন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি ভাবে এখনও নতুন মরসুমের জন্য চুক্তি না হলেও ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র শুক্রবার বলে দিলেন, “ওঁদের না রাখার কোনও কারণ দেখছি না। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে সুব্রত-প্রশান্ত জুটিকেই রাখব আমরা।” জানা গিয়েছে, সুব্রত-প্রশান্তর সঙ্গে আলোচনা করেই দলগঠনের কাজ করছে মোহনবাগান।
টিডি-কোচকে রেখে দিলেও ভারতীয় দলের এক নম্বর স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রীকে আর না রাখার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোহনবাগান। ক্লাব কর্তারা তাঁর খেলায় একেবারেই খুশি নন। চলতি মরসুমে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে সই করেছিলেন সুনীল। সঙ্গে তাঁর এজেন্টের বারো লাখ টাকা। কিন্তু হিসেব করে ক্লাব কর্তারা দেখছেন, সবজু-মেরুন জার্সি পরে এখনও দশটির বেশি ম্যাচ খেলেননি তাদের স্ট্রাইকার। চোট, জাতীয় দলের ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত থেকেছেন বছরের বেশির ভাগ সময়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ম্যাচ প্রতি সুনীলের পিছনে ক্লাবের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা! ক্লাব সূত্রের খবর, সুনীলকে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে একজন এশীয় কোটার পরিচিত স্ট্রাইকার বা ডিফেন্ডারকে দলে নিতে চাইছেন মোহনবাগান কর্তারা। |
সুব্রত-প্রশান্ত নিয়ে মন্তব্য করলেও সুনীলের ব্যাপারে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন মোহন-সচিব। বললেন, “এখনও সাতটি ম্যাচ রয়েছে ক্লাবের ওই ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্সের উপরই সব কিছু নির্ভর করছে। কোন খেলোয়াড়কে রাখা হবে বা বাদ দেওয়া হবে তার তালিকা এখনও হয়নি।” তাঁকে বাতিল করা হতে পারে সম্ভবত সেই খবর পেয়ে গিয়েছেন সুনীলও। তাই তিনি নতুন ক্লাবের খোঁজে। শোনা যাচ্ছে, গোয়ার কোনও ক্লাবে যেতে পারেন তিনি। আপাতত মোহনবাগানের হয়ে ম্যাচ খেলতে পুণেতে গেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক।
তাঁর উপর ক্লাব কর্তারা পরের বারও আস্থা রাখছেন শুনে সুব্রত খুশি হলেও উদ্বেলিত নন। পুণে থেকে ফোনে মোহন টিডি বললেন, “পরের বছর আমাকে ক্লাব রাখলে কাজ করব। কিন্তু থাকব জেনে গা-ছাড়া দেওয়ার লোক আমি নেই। আমরা আই লিগের খেতাব জেতার লড়াইতে আছি। আমার এখন একমাত্র লক্ষ্য বাকি ছয়টি ম্যাচ জেতা। টিমের জন্য আরও ভাল কিছু করা। সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে জিততেই হবে আমাদের।”
শুক্রবার বিকেলেই পুণে পৌঁছেছে মোহনবাগান। খেলা রবিবারের বদলে একদিন পিছিয়ে সোমবার হওয়ায় খুশি সুব্রত। তবে আজ শনিবার বিকেলে পুণের স্টেডিয়াম না পেয়ে তিনি বেশ ক্ষুব্ধ মনে হল। বলছিলেন, “বিকেল পাঁচটায় আমি অনুশীলন করাতে চাই। স্টেডিয়াম বা যে কোনও জায়গায়। খেলা তো ওই সময়েই। আয়োজকরা মাঠ দিতে চাইছেন সকালে। চোট-আঘাত রয়েছে টিমে। তবুও ম্যাচটা জিততেই হবে।” |