দলছুট দাঁতালের আক্রমণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম দীনু বাগদি (৪৬)। বাড়ি খয়রাশোলের পানসিউড়ি গ্রামে। দিন চারেক বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ানোর পর ওই দলছুট দাঁতালটি অজয় নদ পার হয়ে বুধবার গভীর রাতে ঢুকে পড়েছিল বীরভূমের কাঁকরতলা থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার দিনভর হতিটির অবস্থান ছিল কাঁকরতলার পলপই গ্রামে। বিকেলে বনকর্মীরা অভিযান চালিয়ে হাতিটিকে অজয় নদ পার করে দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে ফের অজয় পেরিয়ে হাতিটি পানসিউড়ি গ্রামে চলে আসে। দীনুবাবুকে জখম করার পরে হাতিটি পানসিউড়ি, ময়নাডাল গ্রাম ঘুরে হিংলো নদী পেরিয়ে খয়রাশোলেরই কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে যায়। |
পাণ্ডবেশ্বরে রামনগর থেকে বীরভূমের পথে দাঁতাল। শুক্রবার সকালে ছবিটি তুলেছেন ওমপ্রকাশ সিংহ। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুকুরের দিকে যাচ্ছিলেন দীনুবাবু। সেই সময় হঠাৎ হাতিটির সামনে পড়ে গেলে, তাঁকে পিছনের পা দিয়ে থেতলে দেয় হাতিটি। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে খয়রাশোলের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় দীনুবাবুকে। পরে সিউড়ি সদর হসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। জেলা বনাধিকারিক কিশোর মাঁকড় বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী মৃতের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাঁকুড়া বা পশ্চিম মেদিনীপুর জঙ্গল থেকে দু’টি নদ পার হয়ে দলছুট দাঁতালটি এখানে এসেছে। দুর্ঘটনার পরে দাঁতালটি শুক্রবার সকালেই অজয় পেরিয়ে গিয়েছে বলে শুনেছি।”তবে এলাকাবাসীর আশঙ্কা, দাঁতালটিকে যথাস্থানে ফেরাতে না পারলে আবার সে ফিরবে। যেহেতু এই এলাকায় হাতি দেখা যায় না তাই অতি উৎসাহিত হয়ে হাতি দেখতে গিয়ে আবার কোনও অঘটন ঘটে যেতে পারে। ফসলের ক্ষতি তো হবেই।
|