টুকরো খবর
মাইক বাজিয়ে রক্তদান-মঞ্চে
মঞ্চে মাইক। পলাশিতে ছবিটি তুলেছেন সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সকলেই, স্থানীয় বিডিও থেকে পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি। উচ্চমাধ্যমিক চলাকালীন সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাঁদের সামনেই তারস্বরে বাজল মাইক। রক্তাদান সংক্রান্ত সরকারি সেই প্রচারে মাইকে কখনও নিছকই বক্তব্য কখনও বা তাতে সুর বসিয়ে গান। মঞ্চের উল্টো দিকেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের গায়ে মীরা পুলিশ ফাঁড়ি। নির্বিকার দাঁড়িয়ে ঘন্টা তিনেক ধরে সেই মাইকের তাণ্ডব শুনলেন পুলিশ কর্মীরাও। ঘটনাটি নদিয়ার কালীগঞ্জের পলাশিতে। শুক্রবার সকাল দশটা থেকে ওই রক্তদান শিবিরে ছিলেন তবু মাইকের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন জাগল না? কালীগঞ্জের বিডিও শর্মীষ্ঠা চট্ট্যোপাধ্যায় বলছেন, “কে বলল কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি! আমিই তো উদ্যোক্তাদের বলি মাইক বাজাবেন না। ওঁরা বন্ধও করে দিয়েছিলেন।” মাইক বন্ধ হয়েছিল ঠিকই, তবে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে আয়োজকেরা সকলেই অকপটে জানান, মাইক বন্ধ করা হয় বেলা একটা নাগাদ। অর্থাৎ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে। কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আলতাফ হোসেন বলেন, “আমি ওই মঞ্চে ছিলাম ঠিকই তবে কই মাইক বাজতে তো দেখলাম না! একটা বক্স বাজানো হচ্ছিল। তাতে তো নিছকই প্রচার করা হচ্ছিল।” কিন্তু গ্রামের গাছে, খুঁটিতে লাগানো মাইকগুলি তাহলে কে লাগাল? উত্তর মেলেনি। ফাঁড়ির উল্টো দিকে ঘন্টা তিনেক ধরে পুলিশ সেই মাইকের আওয়াজ পেল না? ওই থানার ওসি বলছেন, “প্লিজ আমাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করবেন না!” তাহলে কে উত্তর দেবেন? জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র অবশ্য বলেন, “আমাকে তো কেউ কিছু জানাননি। এ ব্যাপারে অবশ্যই মহকুমাশাসককে জানানো প্রয়োজন। দেখা যাক উনি কী ব্যবস্থা নেন।” অর্থাৎ এ ব্যাপারে কেউ যে দায় নিচ্ছন না তা স্পষ্ট। তাহলে এটাই কী মেনে নিতে হবে যে, সরকারি নির্দেশ থাকলেও তা মানতে হবে কে বলল?

হাতির পায়ে ভাঙল গাড়ি
হাতির লাথিতে তালগোল পাকানো গাড়ি। ছবি: রাজু সাহা।
ভূট্টার লোভে গ্রামে ঢুকে বুনো দাঁতাল রাস্তা পার হওয়ার সময়ে সামনে পড়ে যায় চলন্ত ছোট গাড়ি। ক্ষিপ্ত দাঁতাল লাথি মেরে গাড়িটিকে দুমড়ে দেয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) পানবাড়ি জঙ্গল লাগোয়া দামসিবাদ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। গাড়ির চালক ও দুই আরোহী জখম হয়েছেন। গ্রামবাসীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করায় দাঁতালটি জঙ্গলে পালিয়ে যায়। জখমদের গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে শামুকতলা হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁরা প্রত্যেকেই বুকে ও মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পূর্ব রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের অফিসার ভবেন বসুমাতা জানান, গ্রামবাসীরা সময়মতো না এলে বড় অঘটন ঘটার সম্ভাবনা ছিল।

বন দফতরের বক্তব্য
বন দফতর গাছ কাটার অনুমতি না দেওয়ায় ঝাড়গ্রামে স্টেডিয়াম সম্প্রসারণ থমকেএই মর্মে গত ২০ মার্চ এই সংস্করণে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ঝাড়গ্রামের ডিএফও জানাচ্ছেন, এমন নয় যে বন দফতর ইচ্ছাকৃত কোনও বাধার সৃষ্টি করছে। বরং, ডিএফও-র দাবি, বিডিও-র তরফে প্রয়োজনীয় নথিপত্র-সহ গাছ কাটার অনুমতি চাওয়া হয়নি বলেই বিলম্ব। এ ক্ষেত্রে নির্মাণ-প্রস্তাব, নতুন গাছ লাগানোর পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট মানচিত্র আবেদনের সঙ্গে দেওয়া বাধ্যতামূলক। শুধু বন দফতরই নয় পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদেরও মতামত প্রয়োজন। তাদের কাছেও এই সব কাগজপত্র পাঠাতে হয়। ১৫ মার্চ বিডিও-র আবেদনের সঙ্গে নথিপত্র ছিল না। ২০ তারিখ দু’দফায় কাগজপত্র পেয়ে সে দিনই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝাড়গ্রামের ডিএফও।

চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার রাতে মালবাজার মহকুমার কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের চেল নদীর ধার থেকে চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা। চিতাবাঘটির মাথায় আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। শুক্রবার চিতাবাঘটির ময়নাতদন্তের পরে জলপাইগুড়ি বনবিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক জানান, চিতাবাঘটিকে আঘাত করা হয়েছিল। সে কারণেই এর মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, এটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ। কী ভাবে চিতাবাঘটি মাথায় আঘাত পেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ওই রাতেই কুমলাই পঞ্চায়েতের সেনপাড়ায় চিতাবাঘের আক্রমণে ৩ ব্যক্তি জখম হন। এদের মধ্যে শঙ্কর সেন মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি দুজনকে প্রাথমিক শুশ্রুষা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শঙ্করবাবু গরু খুঁজতে গিয়ে আক্রান্ত হন বলে জানা গিয়েছে।

৬টি কচ্ছপ উদ্ধার
চোরাশিকারিদের কাছ থেকে উদ্ধার হল ছ’টি কচ্ছপ। কোকরাঝারের চিরাং জেলায়। রক্ষীরা চোরাশিকারি দমনে নেমে চম্পা নদীর পাড়ে কয়েকজনকে ঘুরতে দেখেন। সন্দেহ হওয়ায় এগিয়ে যান তাঁরা। বনরক্ষীদের দেখেই তারা পালায়। ঘটনাস্থলে ছ’টি কচ্ছপ ও দুটি দেশি বন্দুক মিলেছে।

বাঘের থাবায় জখম
বাঘের থাবার জখম হলেন অসমের এক চা-বাগান কর্তা। আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ একটি রয়্যাল বেঙ্গল বিশ্বনাথ চারিয়ালি এলাকার মোনাবাড়ি চা বাগানে হানা দেয়। তার থাবায় বাগানের মালিক জাকির হুসেন ও এক হোমগার্ড মারাত্মক জখম হন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.