|
|
|
|
অংশুমানের তোপে অস্বস্তিতে বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিজেপি নেতাদের কোন্দলের মধ্যেই দলের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন অনাবাসী ভারতীয় অংশুমান মিশ্র। ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন না পাওয়ার পরেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান মুরলী মনোহর জোশীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন অংশুমান। তাঁর দাবি, নির্বাচনের সময়ে জোশীকে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। আবার টুজি কাণ্ডে অভিযুক্তদের সঙ্গে জোশীর বৈঠকের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনিই। তাঁর দাবি, পিএসি তাঁকে ডাকলে সব অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবেন।
বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ীর মধ্যস্থতায় ঝাড়খণ্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অংশুমানকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। কিন্তু, লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজদের চাপে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যান গডকড়ী। অংশুমানের প্রার্থী পদ সমর্থন করেননি অরুণ জেটলিও। চাপের মুখে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন অংশুমান।
তার পরেই একটি টিভি চ্যানেলে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন এই অনাবাসী ভারতীয়। তিনি বলেছেন, “গত নির্বাচনে মুরলী মনোহর জোশীকে অর্থ সাহায্য করেছিলাম। সে জন্য জোশী ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে আমাকে দশ বার ফোন করেছিলেন। এমনকী হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী এক নেতাও আমার সাহায্য চেয়েছিলেন।” রাজনীতিকদের একাংশের মতে, অংশুমানের ইঙ্গিত নরেন্দ্র মোদীর দিকে। তাঁর বক্তব্য, “বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকেও মেনে নেওয়া হয় যে, আমি দলকে দীর্ঘদিন ধরে সাহায্য
করে আসছি।”
অংশুমানের সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন মুরলী মনোহর জোশী। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী থেকে টেলিফোনে তিনি জানান, “অংশুমানের কাছ থেকে কোনও অর্থ সাহায্য নেওয়া হয়নি। টুজি স্পেকট্রাম বণ্টন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের সঙ্গে বৈঠকের কথাও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” বিজেপি মুখপাত্র সিদ্ধার্থ নাথ সিংহের বক্তব্য, “পরাজিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে এত বড় বড় কথা শোনার কোনও প্রয়োজন নেই।”
কিন্তু কয়েক জন বিজেপি নেতার মতে, দুর্নীতি-বিরোধী লড়াইয়ে পিএসিকে সামনে রেখে এগোচ্ছিল বিজেপি। অংশুমানের অভিযোগের ফলে কিছুটা সুবিধে পেয়ে গেল কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারির বক্তব্য, “অংশুমান মিশ্র বিজেপির ঘরের লোক। তাই তাঁর অভিযোগের জবাব জোশী ও বিজেপিকে দিতে হবে।” |
|
|
|
|
|