লোকপালে মমতারই জয় দেখছে তৃণমূল
লোকপাল বিল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানেই দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল সিলমোহর দিয়েছে বলে দাবি করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যসভায় লোকপাল বিল পাশ করানো নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকের পরে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, “মমতা প্রথম দিন থেকে লোকপাল বিল প্রসঙ্গে একটি কথাই বলেছেন। তা হল, সাংবিধানিক নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে এমন কিছু করা উচিত নয়, যেখানে রাজ্যের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়।” তৃণমূলের বক্তব্য, লোকায়ুক্ত কী ভাবে গঠন করা হবে, তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভা স্থির করবে, কেন্দ্র নয়। সুখেন্দুবাবুর দাবি, আজকের বৈঠকে ২১টির মধ্যে ১৮টি দলই মোটের উপর মমতার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছে।
চলতি বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই মমতা তাঁর সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যের অধিকার নিয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সক্রিয় হতে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি নিজেও ধারাবাহিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। একই সঙ্গে রাজ্যের অধিকারের প্রশ্নটিকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এক ছাতার তলায় আনতে সক্রিয় হয়েছেন। কেন্দ্রের এনসিটিসি গঠনের বিরোধিতা করে মূলত তাঁর উদ্যোগেই নরেন্দ্র মোদী, নীতীশ কুমার, নবীন পট্টনায়ক, জয়ললিতার মতো মুখ্যমন্ত্রীরা এক জোট হয়েছিলেন এবং তাঁদের আপত্তিতেই এনসিটিসি শেষ পর্যন্ত আটকে গিয়েছে।
রাজ্যের অধিকার নিয়ে সরব মমতা অবশ্য এখনই কৌশলগত ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলছেন না। বরং তাঁর লক্ষ্য, সরকার যাতে এখনই পড়ে না যায়, সে দিকে নজর রাখা। আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও সুখেন্দুবাবু বলেছেন, “লোকায়ুক্তের বিষয়টি নিয়ে সরকার যেন এমন কোনও পর্যায়ে না পৌঁছয়, যেখানে সম্মানরক্ষার যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। অর্থাৎ, সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের অনড় অবস্থানের জন্য তৃণমূল তথা শরিকদলগুলিকে সংশোধনী দিতে হচ্ছে অথবা বিরুদ্ধে ভোট দিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি যেন না আসে, কেন না তা হলে বিরোধীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।”
এখনই সরকার ফেলে দেওয়ার লক্ষ্য না থাকলেও কেন্দ্রীয় স্তরে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য জোট বাঁধার একটা চেষ্টা তৃণমূল নেতৃত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শুধু নীতীশ বা নবীনের মতো পূর্বাঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীরাই নন, জোট বাঁধতে আগ্রহী পঞ্জাবের প্রকাশ সিংহ বাদল, উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ সিংহ যাদব, তামিলনাড়ুর জয়ললিতাও। গত সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলে মমতা জানান, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার জন্যই তাঁদের এই তৎপরতা। সংসদ চলাকালীন মাসে একবার করে সেন্ট্রাল হলে আসবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.