|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডে দুই শরিকে দূরত্ব বাড়ছে |
জেএমএম প্রার্থীকে ভোট দেবে না বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
রাজ্যসভার নির্বাচনকে ঘিরে আজ ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারের প্রধান দুই শরিক বিজেপি এবং জেএমএম-এর দূরত্ব আরও বাড়ল। নির্বাচনী লড়াইয়ে জেএমএম-এর প্রার্থী থাকলেও ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত এ দিন ঘোষণা করেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির ওই সিদ্ধান্তে নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়েছে জেএমএম শিবিরে। এরই মধ্যে বিজেপিকে এড়িয়ে জেএমএমকে সামনে রেখে রাজ্যে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শক্তিজোটের সরকার গঠনের ছক কষতে শুরু করেছে কংগ্রেস। সব মিলিয়ে রাজ্যসভার একটি আসনের নির্বাচনকে ঘিরে ঝাড়খণ্ডের জোট রাজনীতির অস্থিরতা ক্রমশই বাড়ছে।
আগামী ৩০ মার্চ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ঝাড়খণ্ডের একটি আসনের লড়াইয়ে আছেন পাঁচজন প্রার্থী। ভোটের লড়াইয়ে রয়েছে কংগ্রেস, জেএমএম এবং জেভিএম প্রার্থী ছাড়াও দু’জন নির্দল। রাজ্য বিধানসভার একটি আসন খালি থাকায় এখন ঝাড়খণ্ডের বিধায়ক সংখ্যা ৮০। এর মধ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১৮। ভোটদানে বিরত থাকার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে বিজেপি বিধায়কেরা ভোটে অনুপস্থিত থাকলে সাকুল্যে ৬২ জন বিধায়কের ভোট পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে নির্বাচিত হতে গেলে কোনও প্রার্থীকে পেতে হবে প্রথম পছন্দের ২১টি ভোট।
কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনও দলই এই মুহূর্তে একক ক্ষমতায় দলীয় প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত করার মতো অবস্থায় নেই। রাজ্য বিধানসভায় জেএমএম-এর সদস্য সংখ্যা ১৮, কংগ্রেসের ১৩ এবং জেভিএম-এর বিধায়কের সংখ্যা ১১। এ ছাড়া জোট সরকারের আরও দুই শরিক জেডিইউ-এর ২ জন এবং অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন-এর ৫ জন সদস্য রয়েছেন।
জোট সরকারের প্রধান শরিক বিজেপির ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হলেও আজ প্রকাশ্যে কোনও বিরূপ মন্তব্য করেননি জেএমএম নেতৃত্ত্ব। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সু্প্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা তো জোট সরকারের শরিক হিসেবে রাজ্যসভার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর জন্য বিজেপির কাছে সমর্থন চেয়েছি। এখন সমর্থন করা না-করা সবটাই বিজেপির দলীয় সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে আমাদের কিছু বলার নেই।”
রাজ্যসভার নির্বাচনে দলীয় অবস্থান ব্যাখ্যা করে এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী বলেন, “দলীয় বিধায়কেরা ভোটে অনুপস্থিত থাকবেন। রাজ্যসভার নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের দলীয় বিধায়কদের ভোটদানে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বালমুচু। তিনি বলেন, “রাজ্যের সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির কাছে সমর্থনের আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গেও কংগ্রেস নেতৃত্ত্বের প্রাথমিক কথাবর্তা হয়েছে। এখনই এর বেশি কিছু বলছি না।”
রাজ্যসভার নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপি-জেএমএম-এর দূরত্বকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের জোট রাজনীতিতে নতুন শক্তিবিন্যাস ঘটাতে চাইছে কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসির প্রতিনিধি সাকিল আহমেদ-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতার সঙ্গে জেএমএম-সহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কথাবার্তা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে খুবই ইতিবাচক। বিজেপিকে এড়িয়ে জেএমএমকে সামনে রেখে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়েই চলছে কংগ্রেস। |
|
|
|
|
|