দারিদ্রসীমার নীচে থাকা (বিপিএল) পরিবারগুলির জন্য রাজ্যকে অতিরিক্ত চাল দেওয়ার দাবি আজ মেনে নিল কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক।
আজ রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী কে ভি টমাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পরে প্রতিনিধিরা জানান, কেন্দ্র রাজ্যকে অতিরিক্ত চাল পাঠাতে রাজি হয়েছে। এমনকী ওই চাল কিনতে রাজ্যের যা অর্থ লাগবে তা-ও যাতে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে সাহায্য হিসাবে পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন টমাস। আজকের বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌগত রায়।
জঙ্গলমহল, পাহাড় ও আয়লা বিধ্বস্ত সুন্দরবনের বিপিএল পরিবারগুলিকে অতিরিক্ত চাল দেওয়া হবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে রাজ্যের পক্ষে কেন্দ্রকে প্রায় ১৭ লক্ষ মেট্রিক টন অতিরিক্ত চাল দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সম্প্রতি রাজ্যকে পাঠানো একটি চিঠিতে ওই সাহায্য দেওয়া নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছিল। আজ সেই সংশয় মেটাতে বৈঠক হয় দু’পক্ষের। বৈঠক শেষে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, “বৈঠক সফল। কেন্দ্র বাড়তি চাল দিতে রাজি।”
প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শুধু অতিরিক্ত চাল দেওয়াই নয়, বাজার দরের পরিবর্তে বিপিএলের দরে ওই চাল দেওয়ার আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী। তবে তার জন্য খাদ্য বিষয়ক বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠীর অনুমোদন লাগবে। বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায় বলেন “ওই চাল সংগ্রহ করতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে যাতে ওই টাকা রাজ্য সাহায্য হিসাবে পায়, সেই আশ্বাসও দিয়েছেন টমাস।” সম্প্রতি রাজ্য কৃষকদের ধানের দাম চেকে মেটানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বৈঠকে সেই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “সারা দেশে পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম ওই পদ্ধতি শুরু হয়েছে।”
আজকের বৈঠকে ডিজিটাল রেশন কার্ড বানানোর জন্য ফের কেন্দ্রের কাছে অর্থ দাবি করেছেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। ভুয়ো রেশন কার্ড রুখতে মাস কয়েক আগেই ওই ডিজিটাল রেশন কার্ড বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওই কাজে মোট ২৯১ কোটি টাকার প্রয়োজন। প্রতিনিধি দল টমাস জানানয়, রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ সাহায্যে ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বছরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার সাশ্রয় হবে।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের পেনসনার্স অ্যাসোশিয়েশনের ২৬তম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল রবিবার। চাকদহের ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদের অভিযোগ, পেনশন পেতে অনেক ক্ষেত্রেই হয়রান হতে হয়। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দীপঙ্কর সাহা, সাধারণ সম্পাদক অমর দে-সহ বিশিষ্ট নেতারা উপস্থিত ছিলেন ওই সম্মেলনে। |