রাজনৈতিক টানাপোড়েনে থমকে ক্যানিং স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠ তৈরির কাজ। আর এই ভাবে মাঠ তৈরি বন্ধ থাকার কারণে সমস্যায় পড়েছেন ক্যানিং মহকুমার খেলোয়াড় ও ক্রীড়ানুরাগী মানুষজন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কমপ্লেক্স মাঠে ক্যানিং-ভাঙনখালি রেল পথের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে কমপ্লেক্স মাঠকে রেলের তরফ থেকে তৈরি করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও ভূমি ও ভূমি সংস্কারমন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা রেলমন্ত্রীর কথা মতো জমি দেওয়ার কথা বলেন। |
রেল এই কমপ্লেক্স মাঠ তৈরি করুক এই মর্মে তৎকালীন রাজ্য সরকার রেল দফতরকে চিঠি দেয়। কিন্তু তার পরেও রেল দফতরের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনও সাড়া না পেয়ে বাম সরকার ওই মাঠ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এবং তড়িঘড়ি কমপ্লেক্স মাঠের শিলান্যাসও করে রাজ্য সরকার। কিন্তু তার পরও শুরু হয়নি স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরির কাজ। এ বিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য আমরা সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলাম। এমনকী প্রকল্পের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়াও হয়ে গিয়েছিল প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ লক্ষ টাকার। ম্যাকিনটোস বার্নস নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নতুন সরকার আসার পর এখনও স্টেডিয়ামের এখনও শুরু হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়।” প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকার এই কমপ্লেক্স মাঠকে স্টেডিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেইমত পি ডব্লিউ ডি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে সম্প্রতি সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল এলাকাও পরিদর্শন করেন। এমনকী খুব শীঘ্র এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ নতুন ভাবে তৈরি হবে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে মন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই স্টেডিয়াম তৈরির জন্য প্রায় পৌনে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।”
কিন্তু এত সবের পরেও এখনও কোনও কাজ শুরু না হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই স্থানীয় মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা রাজনৈতিক টানাপোড়েনে না স্টেডিয়াম তৈরির কাজ অসমাপ্তই থেকে যায়! |