|
|
|
|
কুশবনির জঙ্গলে ল্যাপটপ, বিস্ফোরক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জামবনির বুড়িশোলের জঙ্গলে যেখানে মাওবাদী নেতা কিষেণজি নিহত হয়েছিলেন, তার কাছেই মাটি খুঁড়ে মিলল ল্যাপটপ, কার্তুজ ও বিস্ফোরক। তবে সেগুলি কত দিন পোঁতা ছিল এবং মঙ্গলবার সেখানে মাটিই বা খোঁড়া হল কেন, পুলিশের কাছে তার সদুত্তর মেলেনি।
গত ২৪ নভেম্বর যৌথ বাহিনীর গুলিতে নিহত হন কিষেণজি। মঙ্গলবার ওই জায়গার কাছেই কুশবনির জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, দু’টি ফ্ল্যাশগান, ৬টি ল্যান্ডমাইন-সহ প্রায় ১৫০ কেজি বিস্ফোরক এবং ২৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে সিআরপিএফ। ল্যাপটপটি কিষেণজি বা অন্য কোনও শীর্ষ মাওবাদী নেতার কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) অলক রাজোরিয়ার দাবি, জঙ্গল থেকে বেশ কিছু কাগজপত্রও উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে মাওবাদী নেতা আকাশ ও বিকাশের নামে লেখা চিঠিও রয়েছে। ওই সব কাগজপত্র ও চিঠির সূত্রে মাওবাদীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একই জায়গা থেকে মাওবাদী ঘনিষ্ঠ ‘নারী ইজ্জত বাঁচাও কমিটি’র নামে একটি ব্যানারও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |
|
ল্যাপটপ-সহ অস্ত্র উদ্ধার। নিজস্ব চিত্র |
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, সাম্প্রতিক অতীতে ‘আত্মসমর্পণ’ করা মাওবাদীদের ব্যবহৃত সামগ্রী ওই জায়গায় পোঁতা হয়নি তো? ল্যাপটপটি যদি কিষেণজিরই হয়, সেটি সম্ভবত তাঁর পক্ষে পোঁতা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে কে বা কারা তা পুঁতল, সে প্রশ্নও উঠছে। কিছু দিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ‘জনজাগরণ মঞ্চে’ যোগ দিয়েছেন নারী ইজ্জত বাঁচাও কমিটির নেত্রী জ্যোৎস্না মাহাতো। এর পরে ওই সংগঠনের ব্যানার উদ্ধার ঘিরেও কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
সোমবার থেকেই শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলা সংক্রান্ত মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে মেদিনীপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা-দায়রা আদালতে। ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই হামলায় ২৪ জন জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দুই নাবালক-নাবালিকাও। ইউএপিএ-র ছ’টি ধারা, ভারতীয় দণ্ডবিধির পাঁচটি ধারা এবং অস্ত্র আইনে ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল সিআইডি। সোম ও মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেন প্রথম অভিযোগকারী, ইএফআর জওয়ান নারায়ণ ছেত্রী। সাক্ষ্যদান সম্পূর্ণ না হওয়ায় আগামিকাল, বৃহস্পতিবারও তিনিই সাক্ষ্য দেবেন। |
|
|
|
|
|