রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্লাবকে দু’লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠল বিধানসভায়। শুধু বিরোধী পক্ষ নয়, এই নিয়ে প্রশ্ন এল তৃণমূল সরকারের জোটসঙ্গী কংগ্রেসের কাছ থেকেও।
কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের কাছে জানতে চান, অনুদান দেওয়ার জন্য কীসের ভিত্তিতে ক্লাবগুলিকে বাছাই করা হয়েছে? জবাবে মদনবাবু জানান, সরকারের খাতায় নথিভুক্ত এবং বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসেব রাখে, এমন ক্লাবগুলিরই আবেদনের ভিত্তিতে যাবতীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করে ৭০০ ক্লাব বাছাই করা হয়েছে। তিনি বলেন, “যে-সব ক্লাব অনুদানের টাকা যথাযথ ভাবে খরচ করে সরকারের কাছে তাড়াতাড়ি হিসেব দাখিল করতে পারবে, তাদের আবার অনুদান দেওয়া হবে।” ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, সরকারি কোষাগারের হাল খারাপ না-হলে বিভিন্ন ক্লাবকে আরও বেশি পরিমাণে অনুদান দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারত। যাতে তারা আরও ভাল ভাবে কাজ করতে পারে।
প্রায় ৮০০ ক্লাবকে দু’লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন বিধানসভায় এই অনুদান দেওয়াকে ঘিরে সরকার এবং প্রধান বিরোধী দল সিপিএমের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ তর্কবিতর্ক চলে। প্রশ্ন ওঠে অনুদান দেওয়ার পদ্ধতিগত স্বচ্ছতা নিয়েও। সিপিএম এবং অন্যান্য বিরোধী দলের বিধায়কদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মদনবাবু জানান, যে-সব ক্লাব আবেদন করেও অনুদান পায়নি, তাদের কাগজপত্র ঠিক ছিল না বলেই তাদের টাকা দেওয়া যায়নি। আবার মুর্শিদাবাদের মতো জেলাও রয়েছে, যেখান থেকে খুব কম ক্লাব অনুদান চেয়ে আবেদন করেছিল। ক্রীড়ামন্ত্রীর দাবি, সমস্ত রকম স্বচ্ছতা বজায় রেখেই অনুদান দেওয়ার জন্য ক্লাব বাছাই করা হয়েছে। অনুদানের টাকায় কোন ক্লাব কী কাজ করছে, তা দেখার জন্য একটি কোর কমিটি যেমন গঠন করা হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে একটি সলিসিটর ফার্মও। তারা অনুদানের টাকা খরচের হিসেব দেখবে। |