আইএফএ শিল্ড জয়ের চার দিনের মধ্যেই বড় ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলে। কুয়েতে এএফসি ক্লাব কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে কাজমা-র বিরুদ্ধে বড় ধাক্কা খেল ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের দল। কুয়েত সিটিতে ০-৩ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল। ঠাণ্ডার মধ্যে টোলগেরা প্রথম দিকে ভাল খেলছিলেন। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে পরপর দু’গোল হজম করে আত্মসমর্পণের পথে হাঁটল ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচ শেষে মর্গ্যান বলেন, “আমরা ভাল দলের কাছেই হেরেছি। কিন্তু দু’টো গোল খেয়েছি ফ্রি-কিকে। যা আটকানো যেত।” ৩৮ থেকে ৫৭ মিনিটের মধ্যে তিন গোল দেয় কাজমা। বাকি সময়টা লাল-হলুদ ফুটবলাররা আর গোল হতে দেননি। |
আই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে পিছিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল, এএফসি কাপকেই পাখির চোখ করেছিল। এমনকী টুর্নামেন্ট শুরুর আগে লাল-হলুদ কোচ বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য এখন এএফসি কাপ। পুরো শক্তি দিয়ে আমরা এই টুর্নামেন্ট জিততে চাই।” কলকাতায় আল অরুবার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে শুরুটাও ভাল করেছিলেন ওপারা-পেনরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। একেবারে শেষ মুহূর্তে রেফারির ভুলে যুবভারতীতে ০-১ গোলে হারতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। তবে লাল-হলুদ ফুটবলারদের মরিয়া ফুটবল চোখ টানে সবারই।
এ মাসের প্রথমে যুবভারতীতে আল অরুবার বিরুদ্ধে যে খেলাটা শেষ করেছিল, মঙ্গলবার ঠিক সেই জায়গা থেকেই আবার শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম আধ ঘণ্টা জমাট ফুটবল খেললেন ফুটবলাররা। তবে রক্ষণের ভুলে শেষ রক্ষা হয়নি। যার সুযোগ নিয়ে আল কাজমা বিরতির আগেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। ৬৫ মিনিটে হয় তৃতীয় গোল। এএফসি কাপে হারের প্রভাব অবশ্য আই লিগে পড়বে না বলেই মনে করছেন লাল-হলুদ কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “এএফসি কাপ আর আই লিগ দু’টো সম্পূর্ণ আলাদা টুর্নামেন্ট। আমার মনে হয় না, আই লিগে কোনও সমস্যা হবে।”
এই ম্যাচে হারের ফলে কার্যত এএফসি কাপে টিকে থাকা লড়াই আরও কঠিন হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। গতবারও মর্গ্যানরা গ্রুপ লিগের বাধা টপকাতে পারেননি। এ বারও টপকানো প্রায় অসম্ভব।
এ দিনই ছিল প্রয়াত তারকা কৃশানু দে-র মৃত্যুবার্ষিকী। বিকেলে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে কৃশানুর স্মৃতিচারণ করলেন অনেক প্রাক্তন তারকা। ছিলেন মোহনবাগান কর্তারাও। সেখানেও এ এফ সি কাপের ম্যাচ নিয়ে কৌতূহল ছিল প্রাক্তনদের। অনেকে আশায় ছিলেন, পয়েন্ট নিয়ে ফিরবে দল। সেই স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি। |