|
শতাব্দী-প্রাচীন বিদ্যালয় ভবনের
আমূল সংস্কার একান্তই জরুরি
বিপুলকুমার চট্টোপাধ্যায়
(ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) |
|
স্কুল স্থাপিত হয় ১৯১২ সালে। বর্তমানে চাঁপদানির মুখার্জি পরিবারের ইচ্ছা ও বদান্যতায় বর্তমান স্থলে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। এই স্কুলে অধ্যয়ন করে অনেক ছাত্র আজ সমাজের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। গত বছরের ১৫ অগস্ট থেকে বিদ্যালয়ে শতবর্ষ উদ্যাপন উৎসব আরম্ভ হয়েছে। আমাদের বিদ্যালয় মাধ্যমিক পরীক্ষায় বৈদ্যবাটি এলাকার স্কুলগুলির মধ্যে ‘মেইন সেন্টার’ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে চলেছে। বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য স্থায়ী ঝাড়ুদার এবং রাত-পাহারাদার নেই। অস্থায়ী লোক নিয়োগ করে এই কাজ চালাতে হচ্ছে। তবে, বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বৈদ্যবাটি পুরসভা সহযোগিতা করছে। শতাব্দী-প্রাচীন এই বিদ্যালয়ের সংস্কার খুবই প্রয়োজন। ‘শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি’ এবং পরিচালন সমিতির আবেদনে সাড়া দিয়ে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী, গ্রন্থাগারিক এবং পরিচালন সমিতির সদস্যদের অর্থদানে বিদ্যালয় ভবন রঙ করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ সংস্কার ও রঙের কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমাদের বিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রূপক ভট্টাচার্য ৯৪৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে ১৮ তম স্থান অধিকার করে বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে। খেলাধূলার ক্ষেত্রে এই বিদ্যালয় এক সময় জেলায় খুবই নাম করেছিল, বিশেষত ফুটবলে। বর্তমানে ভলিবল, বাস্কেটবলে এবং জুডোতে আমাদের ছাত্রেরা মহকুমা থেকে জাতীয়স্তরে পৌঁছেছে। সাংস্কতিক প্রতিযোগিতা ও বিজ্ঞান মডেল প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও ছেলেরা সাফল্য অর্জন করছে। আমাদের বিদ্যালয়ে ইকো ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের এনসিসি বিভাগ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করে।
|
আমার চোখে
সূর্য্যকান্ত দাস
(ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট বয়) |
|
|
আমার স্কুল আমার কাছে খুব প্রিয়। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলার চর্চাও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমি পঞ্চম শ্রেণি থেকেই এখানে পড়াশোনা করছি। শিক্ষক-শিক্ষিকারা পঠন-পাঠনে ভীষণ সাহায্য করেন। স্কুলের গ্রন্থাগারটি বেশ উন্নত মানের। এখান থেকে পাঠ্যপুস্তক এবং অন্যান্য বইপত্র নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান হুগলি জেলার পুরনো স্কুলগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এই মুহূর্তে স্কুলের শতবর্ষ চলছে। ছাত্র হিসেবে আমার এবং আমাদের প্রধান দায়িত্ব এবং কর্তব্য, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করে বিদ্যালয়ের নাম গৌরবান্বিত করা। |