এ মণিপুর কিন্তু সে মণিপুর নয় |
মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত প্রতিবেদনে (‘মণিপুরে প্রথম বার লড়েই...’, ৭-৩) রাজীবাক্ষ রক্ষিত মণিপুরকে রাজকুমারী চিত্রাঙ্গদার দেশ বলে বর্ণনা করেছেন, সেটা ঠিক নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চিত্রাঙ্গদা’ নৃত্যনাট্যে যে মণিপুরের উল্লেখ আছে, তা আসলে ওড়িশার উপকূলবর্তী একটি গ্রামের নাম। অঞ্চলটির নাম কেন্দিপাড়া। চিত্রাঙ্গদার গানে (এল এল রে দস্যুর দল...মাল্লাপল্লি হতে চল) যে মাল্লাপল্লি, অর্থাৎ মালোপাড়ার (জেলেদের পাড়া) কথা আসছে, সেটা সমুদ্রর ধারেই সম্ভব। কেন্দিপাড়াটা তেমনই একটা এলাকা। উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যে এই জেলেপাড়া থাকার কথা নয়। তা ছাড়া মহাভারতে পাণ্ডবদের অজ্ঞাতবাসের যে পথ মানচিত্র রয়েছে, তাতে ভারতের উত্তর-পূর্বের মণিপুরের কথা নেই। বরং অর্জুনরা যে ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশ হয়ে মধ্যপ্রদেশে চলে গিয়েছিল, সেই প্রমাণ আছে।
অবশ্য এই বিভ্রান্তি অভিনব নয়। অনেকেরই এমন একটা ভুল ধারণা আছে যে, চিত্রাঙ্গদাতে উল্লিখিত মণিপুরের অবস্থান ভারতের উত্তর-পূর্বে। তাই হামেশাই ‘চিত্রাঙ্গদা’ নৃত্যনাট্যের মঞ্চায়নে মণিপুরী নৃত্যের বেশবাস ব্যবহার করা হয়। অথচ সে-ক্ষেত্রে ওড়িশি নৃত্যের সাজপোশাক ব্যবহার করা উচিত। মিথ আর ইতিহাস তো এক নয়!
শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়। নাশভিল, টেনেসি, ইউ এস এ
|
মেট্রো রেলের রবীন্দ্র সদন প্ল্যাটফর্মে পুরোনো ফ্লোর মার্বল তুলে ফেলে আগের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অনেক মসৃণ এবং পিচ্ছিল মার্বল বসানো হয়েছে। প্ল্যাটফর্মের মার্বল পিচ্ছিল হওয়ায় যাত্রীরা দ্রুত হাঁটতে গেলে পা-পিছলে পড়ে গিয়ে আঘাত পেতে পারেন। এমনকী রেল লাইনে পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে একটু খসখসে ফ্লোর মার্বল লাগানোই যাত্রী সাধারণের যাতায়াতের পক্ষে ভাল। তাতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম থাকে।
অতীশচন্দ্র ভাওয়াল। কোন্নগর, হুগলি |