ভোডাফোনকে কর নিয়ে কেন্দ্রের আর্জি ফের খারিজ |
ভোডাফোনের কাছ থেকে কর আদায় করা যাবে না, এই রায় ফিরে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগের আর্জি ফের খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
জানুয়ারিতেই পাঁচ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর শীর্ষ আদালতের রায় যায় ভোডাফোনের পক্ষে। ১২ হাজার কোটি টাকা কর আদায়ের যে-দাবি আয়কর বিভাগ করেছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। সেই রায় নতুন করে খতিয়ে দেখতে ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টে ফের আবেদন করে আয়কর দফতর। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগের রায়ই বহাল থাকবে।
এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ভোডাফোন। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়ে দিয়েছেন, মামলা চলাকালীন আদালতে ভোডাফোন যে টাকা জমা দিয়েছিল, তা তাদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভোডাফোন যে ২৫০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছিল, দু’মাসে তা ৪% সুদ-সহ তাদের ফেরত দিতে জানুয়ারির রায়েই বলেছিল শীর্ষ আদালত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে ইঙ্গিত, আজই ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাই এ দিনই তা মিটিয়েও দিয়েছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ২০০৭-এ হংকং ভিত্তিক মোবাইল পরিষেবা বহুজাতিক হাচিসন-এসারে হাচিসনের ৬৭% শেয়ার প্রায় ১,১০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে হাতে নেয় ভোডাফোন। কিন্তু এ জন্য কেন্দ্রের কাছে কর জমা দেয়নি তারা। তাদের দাবি ছিল, এই অধিগ্রহণে দু’টি বিদেশি সংস্থার মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে বিদেশের মাটিতে। এ জন্য কোনও কর দাবি করতে পারে না কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে কর দেওয়া উচিত বিক্রেতা সংস্থার। ক্রেতা (ভোডাফোন) সংস্থার নয়। উল্টো দিকে কেন্দ্রের দাবি ছিল, ব্যবসার বড় অংশ ভারতে হওয়ায় কর তাদের প্রাপ্য।
এ দিকে, ভোডাফোন-হাচিসনের মতো ব্যবসায়িক লেনদেনকে করের আওতায় আনতে বাজেটে আয়কর আইনে সংশোধনী প্রস্তাব এনেছেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। যা অনুযায়ী, দেশে ব্যবসার যোগসূত্র থাকলে, ভারতীয়, অনাবাসী বা বিদেশি, সবাই উৎসে কর কাটিয়ে তা দেশে জমা দিতে বাধ্য হবেন। লেনদেন বিদেশে হলেও করের আওতায় আসবেন তিনি। এটি কার্যকর ধরা হবে ১৯৬২-র ১ এপ্রিল থেকে। |