শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হল মালিক সমিতি। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করে মঙ্গলবার মালিক সমিতির পক্ষে লিখিত ভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিতাভ সেনগুপ্ত বলেন, “জেলা আদিবাসী গাঁওতার নাম করে রহিত হাঁসদা নামে এক গাঁওতা সদস্য কী কারণে ক্রাশার ও খাদান বন্ধ করে দিয়েছিলেন সেটা পরিষ্কার নয়। কী কারণে ক্রাশার ও খাদান বন্ধ করা হয়েছে, গাঁওতার তরফেও লিখিত ভাবে জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান করার চেষ্টা চালানো হবে।” অমিতাভবাবু আরও বলেন, “হঠাৎ করে একটা চালু পাথর শিল্পাঞ্চল বন্ধ করে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। এর ফলে মালিক পক্ষের যতটা না ক্ষতি, তার বেশি ক্ষতি এই শিল্পাঞ্চল এলাকার উপরে নির্ভরশীল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত শ্রমিকদের। পাশাপাশি পাথর শিল্প বন্ধ থাকলে সরকারের রাজস্ব খাতে আয়ও কমে যাবে।”
প্রসঙ্গত, মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে মালিক সমিতির সঙ্গে জেলা আদিবাসী গাঁওতার এক সদস্যের মধ্যে বচসার জেরে সোমবার গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয়েছিল রামপুরহাটের শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে। মালিক সমিতির অভিযোগ, আদিবাসী গাঁওতার সদস্য, মালিক পক্ষ ও প্রশাসনকে নিয়ে একটি যৌথ কমিটি আছে। কিন্তু ওই কমিটির সদস্য না হয়েও সোমবার সকালে এলাকার ক্রাশার ও খাদান বন্ধে নেতৃত্ব দেন রহিত হাঁসদা নামে এক ব্যক্তি। শালবাদরা পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির মুখপাত্র মৈনুদ্দিন হোসেন বলেন, “মার্চ মাসের মধ্যে সরকারকে রাজস্ব দিতে হয়। ব্যবসা চালু না থাকলে ওই টাকা কোথা থেকে জোগাড় করব। তা ছাড়া, ক্রাশার, খাদান না চললে শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে পড়বে।” তিনি জানান, এলাকার ১৬০টি ক্রাশার ও ৪৫টি খাদানে কমপক্ষে ২৫ হাজার লোকের জীবিকা নির্বাহ হয়। জেলা আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক রবীন সোরেন বলেন, “রহিত হাঁসদার সঙ্গে কথা বলব। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যা আছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করব।” |