|
|
|
|
অধিগৃহীত ‘অব্যবহৃত’ জমি ফেরতের দাবি |
আন্দোলনে নামবে কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
শিল্পের জন্য অধিগৃহীত জমির অব্যবহৃত অংশ ফেরত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছে কংগ্রেসের কৃষক সংগঠন। কিসান ও খেত মজদুর কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে এই নির্দেশ জেলায় এসেছে। শিল্প করার জন্য জমি অধিগ্রহণ করে দীর্ঘদিন ধরে সেই জমি ফেলে রাখার জন্য পূর্বতন বাম সরকারকেই অভিযুক্ত করেছে কংগ্রেসের কৃষক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের হাতে থাকে সেই সব জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের পথে গিয়ে রাজ্যের তৃণমুল নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপরেই ‘চাপ’ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিসান ও খেত মজদুর কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গত শনিবার জলপাইগুড়িতে গিয়েছেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক অবিনাশ কাঁকড়ে। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া তোড়লপাড়ার ফাইটোকেমিক্যাল কারখানা শনিবার পরিদর্শন করেন তিনি। |
|
ছবি: সন্দীপ পাল। |
রাজ্য সরকারের অধীনস্থ তোড়লপাড়ার এই ফাইটোকেমিক্যাল সংস্থার বিরুদ্ধেও জমি অধিগ্রহণ করে অব্যবহৃত রাখার অভিযোগ রয়েছে। সংগঠনের অভিযোগ প্রায় ৫৬ একর জমিতে কারখানা গড়ার জন্য অধিগ্রহণ করা হলেও মাত্র এক একরের কিছু বেশি পরিমাণ জমিতে কারখানা হয়েছে। বাকি জমি গত ত্রিশ বছর ধরে অব্যবহৃত হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। রবিবার জলপাইগুড়িতে পুরসভার প্রয়াস হলে কংগ্রেসের কৃষক সংগঠনের জেলা স্তরের কনভেনশনে তোড়লপাড়ায় অব্যবহৃত জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন অবিনাশবাবু। এ ছাড়াও জেলার ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ি, রানিনগর, ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট মাঝারি শিল্প তালুকের জন্য অধিগৃহীত জমি, যেখানে অব্যবহৃত হয়ে রয়েছে, সেখানেও ব্লক স্তর থেকে কৃষকদের সংগঠিত করে আন্দোলনের পথে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। অবিনাশবাবু বলেন, “বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শিল্পের নামে কৃষি জমি দখল করে রাখা হয়েছে। সেই সব জমিতে শিল্পও হয়নি। এর ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফসল উৎপাদন কমেছে। যেমন তোড়লপাড়ায় হয়েছে। এগুলি সবই আগের সিপিএম সরকারের পাপ। রাজ্যে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর সরকার আছে। তবে সেই সব অব্যবহৃত জমি রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে। সে কারণে আমরা রাজ্য সরকারকেই চাপ দিতে আন্দোলন শুরু করব। কোন দল ক্ষমতায় আছে তা দেখব না। কৃষকদের স্বার্থই প্রধান কথা।” এ দিনের কনভেনশনে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসু উপস্থিত ছিলেন। জেলায় কিসান ও খেত মজদুর কংগ্রেসের সংগঠন বাড়াতে জেলা কংগ্রেসেরও সহযোগিতা চেয়েছেন অবিনাশবাবু। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহনবাবুও জমি ফেরত চেয়ে আন্দোলনের পক্ষে সাওয়াল করেছেন। জেলায় কিসান খেত মজদুর কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরিজা রায়ও কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। শনিবার তোড়লপাড়া ফাইটোকেমিক্যাল পরিদর্শনের পরে ক্রান্তি এলাকায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের হাল পরিদর্শন করেন তিনি। সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক বলেন, “ক্যানাল প্রকল্প পুরোপুরি দুর্নীতি হয়েছে। এখনও কৃষকরা সঠিক পরিমাণে জল পাচ্ছেন না। আমাদের দাবি ক্যানালে কোন সময়ে জল দেওয়া হবে তার ক্যালেন্ডার তৈরি করে কৃষকদের হাতে দিতে হবে।” শিল্পের জন্য বাম সরকারের আমলে অধিগৃহীত অব্যবহৃত জমি ফেরত দেওয়া ও কৃষিনীতি পরিবর্তন, দুই নিয়েই আপাতত রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধেই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত শরিক কংগ্রেসের কৃষক সংগঠনের। |
|
|
|
|
|