অস্থায়ী কর্মীদের বেতন নিয়ে সমস্যা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলডাঙা |
মাসের অর্ধেক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বেতন পাচ্ছেন না পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। প্রায় তিন মাস ধরেই এই অবস্থা বেলডাঙা পুরসভার কর্মীদের। পুরসভার বিরোধী দলের কাউন্সিলারদের অভিযোগ, পরিকল্পনার অভাব ও নিয়ম না মেনে খরচ করার ফলেই এই সমস্যা। তবে পুরপ্রধান দাবি করেছেন বিগত পুরবোর্ডের বেহিসেবি কাজকর্ম ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যায় প্রচুর বেড়ে যাওয়াতেই এই সমস্যা হচ্ছে।
বর্তমান পুরসভায় স্থায়ী কর্মী ৬৮ জন এবং অস্থায়ী কর্মী ৫১ জন। অস্থায়ীদের মধ্যে ৪৮ জনের মাইনের ব্যবস্থা করতে হয় পুরসভাকেই। এ ছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্থায়ী কর্মীদের বেতনের ৯০ শতাংশ সরকার দিলেও বাকিটা দিতে হয় পুরসভাকে। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী সিপিএমের শীলা ঘোষ বলেন, “তিন মাস আগেও ওই ৪৮ জন কর্মী মাসের প্রথমে টাকা পেতেন। কিন্তু এখন মাইনের এই তিন হাজার টাকাও ঠিক সময়ে না পাওয়ায় তারা কাজে মন দিতে পারছেন না। আমাদের বোর্ডের সময়ে সাধারণ তহবিল থেকে অনিয়ন্ত্রিত খরচ করা হত না। এখন তাতে হাত পড়াতেই এই বিপত্তি। এ রকম চলতে থাকলে স্থায়ী কর্মীদেরও বেতন পেতে সমস্যা হবে।” বেলডাঙার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিজেপির অলোক ঘোষ বলেন, “বর্তমান পুরবোর্ডের কয়েক জন কাউন্সিলর নিজেদের ওয়ার্ডে অনেক সময়েই সাময়িক ভাবে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করছেন। সাধারণ তহবিল থেকেই তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে ওই সমস্যা।” চরম অর্থ সঙ্কটে পড়েছে প্রায় ৪৮টি পরিবার। তাঁদের তরফে রেবা দাস , রকিব শেখ, রেহেনা বিবিরা বলেন, “নর্দমা পরিষ্কার ও শহর পরিচ্ছন্ন করার কাজ মূলত অস্থায়ী কর্মীরা করেন। মাসের প্রথমে মাইনের টাকা পাচ্ছি না। সংসারের অভাব মেটাতে ধার করতে হচ্ছে। সুদও গুণতে হচ্ছে। মাসের মাঝে যখন হাতে টাকা পাচ্ছি সেটাও হাতে থাকছে না।” তবে পুরপ্রধান কংগ্রেসের অনুপমা সরকারের জবাব, “বিগত বোর্ড বেহিসেবি ভাবে ১২ জনকে নিয়োগ করেছিল। সাধারণ তহবিল থেকেই তাদের টাকা দিতে হচ্ছে। বিগত বোর্ডের বিদ্যুতের বিল বকেয়া ১৪ লক্ষ টাকা। তাও দিতে হচ্ছে। আগে বিদ্যুৎ খরচ বাবদ মাসে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হত। এখন মিটার লাগানোয় মাসে ২-৩ লক্ষ টাকা বিল দিতে হচ্ছে। ফলে কর্মীদের বেতনে সমস্যা হচ্ছে। জেনারেল ফান্ডের খরচ বেশি হওয়ায় সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি এই সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।” |