শুকনো পাতা থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুন থেকে বড় মাপের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল ডুয়ার্সের গরুমারা অভয়ারণ্য লাগোয়া খুনিয়া রেঞ্জে। শনিবার দুপুরে ওই আগুন লাগে। বিকেলের দিতে তা দ্রুত জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে যায় বেশ কিছু বড় গাছ। ওই জঙ্গলে প্রচুর ময়ূর ও বনমুরগি রয়েছে। আগুনে প্রচুর ময়ূর ও বনমুরগির ডিম নষ্ট হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জঙ্গলের ভিতর দিয়েই পূর্ত দফতরের একটি রাস্তা রয়েছে। আগুন রাস্তার কাছে চলে আসায় কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বনকর্মীরা সেখানে গিয়ে অবশ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কী ভাবে আগুন লাগল সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। জলপাইগুড়ির ডিএফও কল্যাণ দাস বলেন, “কোনও পথচারীর অসতর্কতার জেরে আগুন লেগেছে বলে মনে হচ্ছে।” যদিও এলাকার পরিবেশ প্রেমীদের অভিযোগ, জঙ্গলে গরু চরাতে যায় এমন রাখালেরাই শুকনো পাতায় আগুন লাগিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সন্তু চৌধুরী জানান, ওই দিন বিকালে তিনি মোটর বাইকে চড়ে ধূপঝোরা থেকে নাগরাকাটা যাচ্ছিলেন। রাস্তায় ধোঁয়া দেখতে পান। জঙ্গলে কাছাকাছি গিয়ে টের পান চার দিক এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। খবর পেয়ে লাটাগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংগঠন গ্রিন লেবেলের সম্পাদক অনির্বাণ মজুমদারও ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, “শুকনো পাতা পোড়াতে কেউ আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে। বন দফতর এর দায় অস্বীকার করতে পারে না। কিছু বড় গাছও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। খুনিয়া রেঞ্জের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোঅর্ডিনেটর অব ফরেস্ট ফুরন্ত শেরপা বলেন, “গতকাল বেশ কয়েক জায়গায় গিয়ে বনকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাখালরা আগুন লাগাতে পারে আবার সিগারেটের আগুন থেকেও তা হতে পারে।”
|
উদ্ভিদ ও জীবাণুকে মানুষের উপকারে ব্যবহার করা নিয়ে একটি জাতীয় স্তরের আলোচনা হয়ে গেল বিশ্বভারতীতে। উদ্যোক্তা বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ। আলোচনার যুগ্ম আহ্বায়ক শমিত রায় বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন গবেষণাগার থেকে অধ্যাপক, গবেষক ও বিজ্ঞানীরা যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের গবেষণার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” শনিবার এই আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে জনহিতকর কাজে আরও বেশি করে ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে।”
|
এক দিকে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারালেন দম্পতি, অন্য দিকে, গন্ডারের হানায় জখম হলেন বনরক্ষী। বন বিভাগ সূত্রে খবর, কাল রাতে হাতির পাল হানা দেয় নগাঁও জেলার রূপহি গোয়াজান গ্রামে। তাদের চলার পথে পড়ে একটি মাটিরা বাড়ি। বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। পিষ্ট হয়ে মারা যান স্বামী-স্ত্রী শরৎ মণ্ডল ও নন্দরানি মণ্ডল। অন্য দিকে, আজ সকালে কাজিরাঙার কোহরা রেঞ্জে মিহিমুখ বাগোরিডোঙা শিবিরের কাছে গন্ডারের আক্রমণে জখম হন যোগেশ্বর বরুয়া নামে এক বনরক্ষী। তাঁকে চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটি নিয়ে আসা হয়। এ ছাড়া গত কাল, মিহিমুখেই গন্ডারের আক্রমণে গুরুতর জখম হয় একটি পোষা হাতি।
|
কোতয়ালি থানার নয়াগ্রাম থেকে বেআইনি কাঠ উদ্ধার করল বন দফতর। জঙ্গলের কাঠ কেটে যৌথ বাহিনীর ক্যাম্পে বিক্রি করা হচ্ছে বলে বন দফতরে অভিযোগ আসে। রবিবার বন দফতর তল্লাশি শুরু করে। দেখা যায়, বেআইনি ভাবে কাঠ কেটে যৌথ বাহিনীর ক্যাম্পে বিক্রির চেষ্টা করছে কয়েকজন। তবে বন কর্মীরা যেতেই কাঠ রেখে অভিযুক্তেরা পালায়। বনকর্মীরা কাঠগুলি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
|
পঞ্চায়েতের গাছ চুরির অভিযোগে রবিবার দু’জনকে গ্রেফতার করল কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ জানায় ধৃতদের নাম সান্টু শেখ ও আজহার হোসেন। বাড়ি স্থানীয় কাঁটারি গ্রামে। শুক্রবার স্থানীয় পালটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান যুথিকা দাস কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ১৫ মার্চ কিছু দুষ্কৃতী কাঁটারি গ্রাম থেকে এহিয়াপুর সেচখালের পাড় পর্যন্ত ৩৭টি শিশুগাছ কেটে নিয়ে গিয়েছে। পরে সান্টু শেখের বাড়ি থেকে গাছগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
|
দাঁতালের হানায় ভাঙল ঘর। ওই ঘটনায় জখম হন এক দম্পতি। রবিবার ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের প্রধানপাড়া এলাকায়। বন্যপ্রাণ-৩ বিভাগের পশ্চিম জলদাপাড়ার রেঞ্জ অফিসার রঞ্জন তালুকদার জানান, ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ একটি দাঁতাল প্রধান পাড়ায় হামলা চালিয়ে একটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত করে। শুড়েঁর ধাক্কায় জখম হন শুখা খাড়িয়া ও তার স্ত্রী মালতি। |