|
|
|
|
সুদের হার কমবে শীঘ্রই, শিল্পমহলকে বললেন প্রণব |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
আসন্ন ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষে সাধারণ ভাবে মূল্যবৃদ্ধির হার সহ্যের সীমার মধ্যেই থাকবে বলে শিল্পমহলকে কথা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। আর, ঠিক সেই কারণেই আগামী মাসগুলিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কম সুদের জমানাতেই ফিরে যাবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধি বাগে আনতে এত দিন সুদ বাড়ানোর পর এ বার নীতি বদলের পথেই হাঁটবে বলে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিতও দিয়েছে।
বাজেটের পর এই প্রথম দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে রবিবার প্রণববাবু বলেন, “আমি সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি ৩ থেকে ৪ শতাংশে নেমে আসার কথা বলছি না। তবে ৬ থেকে ৬.৫ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায়।” অর্থমন্ত্রী জানান, গত তিন মাসেই মূল্যবৃদ্ধি কমার মুখ নিয়েছে। তাই আগামী মাসগুলিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর দিকেই তাঁরা তাকিয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই জানুয়ারিতে এবং মার্চের গোড়ায় নগদ জমার অনুপাত কমিয়ে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সব মিলিয়ে এই দু’দফায় নগদ জমার অনুপাত বা ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের আমানতের যে অংশ শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে গচ্ছিত রাখতে হয়) কমেছে ১২৫ বেসিস পয়েন্ট। ব্যাঙ্কের হাতে বাড়তি ৮০ হাজার কোটি টাকা নগদের জোগান এর ফলে এসেছে। নগদ জমার অনুপাত নেমে এসেছে ৪.৭৫ শতাংশে। পরবর্তী দফায় সুদ কমানোর ব্যবস্থা নিতে এটা শীর্ষ ব্যাঙ্কের জমি প্রস্তুত করা বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার ও ব্যাঙ্কিং শিল্পও। প্রসঙ্গত, চলতি ২০১১-’১২ অর্থবর্ষ জুড়েই চড়া ছিল সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার। যা শীর্ষ ব্যাঙ্ককেও সুদ বাড়ইয়ে নগদের জোগানে রাশ টানতে বাধ্য করে। ডিসেম্বরে মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৮.৩ শতাংশ, তার পর জানুয়ারিতে ৬.৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির ২০.২ শতাংশ থেকেকমে মার্চে ছোঁয় ৯.৪ শতাংশ। এর পরে দাম সরাসরি কমতে শুরু করে। ফলে মূল্যবৃদ্ধির হার নেমে যায় শূন্যের নীচে। প্রণববাবু বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার সামান্য বেড়েছে। তবে আশা করছি আগামী মাসগুলিতে তা কমে এসে কিছুটা থিতু হবে।” |
|
|
|
|
|