দিন পনেরো ধরে পানীয় জলে পোকা দেখা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ রামপুরহাট পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়া, ব্রাহ্মণপাড়া ও ভাঁড়শালা পাড়ার বাসিন্দারা। বাসিন্দারা তাঁদের সমস্যার কথা লিখিত ভাবে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাউন্সিলর এলাকায় এসে বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে পুরপ্রধান ও পানীয় জল সরবরাহে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এখনও পর্যন্ত সমস্যা মেটেনি। বাসিন্দা রেখা নাথ, হুরবান বিবি, রউশানারা বেগমদের ক্ষোভ, “এলাকার ৫টি পানীয় জলের কলে পোকা বেরচ্ছে। সকাল ৭টা নাগাদ জল এলেও মিনিট ৪৫ ঘোলা জল উঠছে। কাপড় বেঁধে পরিষ্কার জল পাওয়া যায় মাত্র আধ ঘণ্টা।” তাঁদের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ব্যবহার করা একটি পুকুর বুজিয়ে বাড়ি গড়ে উঠছে। এর ফলে স্থানীয় মানুষ পুকুরের জল ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।” ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরওয়ার্ড ব্লকের স্বপন দত্ত বলেন, “আমি চিকিৎসার জন্য কিছু দিন বাইরে ছিলাম। ফিরে শুনেছি এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরে জলে পোকা উঠছে। পুরপ্রধানকে বলা হলেও এখনও পর্যন্ত সমস্যা মেটেনি।” পুরপ্রধান তৃণমূলের নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভার জলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে এলাকায় পাঠিয়েছি। কোথায় পাইপ ফেটেছে তা খুঁজে মেরামত করে ভাল জল সরবরাহরে জন্য বলা হয়েছে।”
|
দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎহীন তিনটি ওয়ার্ড |
বড় গাড়ির ধাক্কায় জাতীয় সড়কে ভেঙে পড়েছিল বিদ্যুতের খুঁটি। তার জেরে যানজট তো ছিলই। সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের ‘গড়িমসিতে’ শনিবার ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে রইল দুবরাজপুর শহরের একাংশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দুবরাজপুর শহরের মাঝখান দিয়ে যাওয়ায় যানবাহনের চাপ এই রাস্তায় খুবই বেশি। শনিবার সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ দুবরাজপুরের কামারশাল মোড় এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে থাকা একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে ভেঙে দিয়ে পালিয়ে যায় কোনও গাড়ি। সেই সময় থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত যানজট চলে।
দুবরাজপুর থানার পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে ভাঙা খুঁটিটি সরানোর পরে যান চলাচল স্বাভবিক হয়। তবে নতুন বিদ্যুতের খুঁটির ব্যয়ভার কে বহন করবে এই নিয়ে দ্বন্দ্বে নতুন খুঁটি বসাতে বসাতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন থাকে দুবরাজপুর পুরসভার ৮, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। বিদ্যুৎ দফতরের ‘গড়িমসিতে’ ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। তাই বিদ্যুৎ দফতরের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল।” অবশ্য বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, ‘গড়িমসি’ নয়, প্রাথমিক ভাবে চেষ্টা করা হয়েছিল যাতে যে গাড়িটি ধাক্কা মেরেছে, ওই গাড়িটিকে খুঁজে বের করা। তা হলে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যেত।
|
ছাই বহনকারী ট্রাকের শিকলের ধাক্কায় জখম হয়ে মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠার মুখে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বীরবল সিংহ (৪২)। তাঁর বাড়ি আদতে বাঁকুড়া জেলায় হলেও গত ১৮ বছর সদাইপুর থানা লাগেয়া এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরবলবাবু ও তাঁর স্ত্রী বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুতের একটি খাবারের দোকান চালাতেন। শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে সাইকেলে কচুজোড়ের দিকে যাওয়ার সময় ওই ট্রাকটি ধাক্কা মারলে বীরবলবাবু জখম হন। তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। পুলিশ ছাইয়ের ট্রাকটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি।
|
জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের রামপুরহাট শাখার সভাকক্ষে গত ১৬-১৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজ কল্যাণ পর্ষদের উদ্যোগে দু’দিন ব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় কন্যাভ্রূণ হত্যা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, শিশুকন্যার অধিকার রক্ষার মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা। প্রথম দিন উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) কৃষ্ণা মাড্ডি, মহকুমাশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মহম্মদ ইব্রাহিম-সহ সমাজ কল্যাণ দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা। কর্মশালায় নির্যাতিতা নারী ও ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়।
|
নলহাটির নওয়াপাড়া গ্রামে শনিবার থেকে শুরু হল উরস মেলা। মেলার উদ্বোধন করেন মাড়গ্রাম মানব কল্যাণ শিবির সংগঠনের কর্ণধার মিলটন রশিদ এবং তারাপীঠ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী হংসানন্দ। |