|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
মেলাযাত্রা, মহা হুড়াহুড়ি |
বইপোকা |
নূতন বৎসর আসিয়াছে। হালখাতার লগ্ন আসিতে এখনও বহু বিলম্ব। কিন্তু বৈশাখে বই-প্রকাশের রীতি এক রকম উঠিয়াই গিয়াছে বইপাড়া হইতে। নূতন বই প্রকাশের মহা ধুমধাম এখন জানুয়ারিতে, বইমেলায়। ইহাতে দোষ নাই। স্মৃতিকেই শিরোধার্য করিয়া থাকিলে চলিবে না। বইমেলা গ্রন্থ বিপণনের এক মহা সুযোগ ঘটাইয়া দেয়, এ সত্যটি অস্বীকার করিবার উপায় নাই। সেই কারণেই এখন হুড়াহুড়ি বইপাড়ায়, পণ্যটি তৈয়ার করিয়া মেলায় লইয়া যাইতে হইবেই। সেই তাড়ায় ছাপাখানার ভূতসকল জাঁকিয়া বসিতেছে, বাঁধাইয়ের আঠা জমিতেছে না, হরফগুলির মন পৃষ্ঠা হইতে উড়ুউড়ু। এই কর্মযজ্ঞটি প্রমাণ করে, ইন্টারনেটের এই দুনিয়াতেও বইপাড়ার বিপণনবুদ্ধি খোলে নাই। সারা বৎসর ধরিয়া গ্রন্থগুলির খবর কী প্রকারে পাঠকের কাছে পৌঁছানো যায় সে বিষয়ে বিশেষ ভাবিত নয় অধিকাংশ প্রকাশনা। সংবাদ ও সাময়িকপত্রে বিজ্ঞাপন এবং পুস্তক-বিভাগে যৎকিঞ্চিৎ উল্লেখের উপরই এখনও প্রধান নির্ভরতা। অধিকাংশ প্রকাশনার এখনও নিজস্ব ওয়েবসাইট নাই, থাকিলেও তাহা নিতান্ত মান্ধাতার আমলের। সেখানে গ্রন্থের সবিস্তার পরিচয় এবং নমুনা পৃষ্ঠা ত দূর অস্ত্, নাম-দামের বাহিরে আর কোনও তথ্যই নাই। কর্মযজ্ঞটি কাটিয়া গেলে প্রকাশকেরা ভাবিয়া দেখিতে পারেন, কী প্রকারে এই বৎসর জুড়িয়া প্রকাশিত গ্রন্থগুলির প্রচার করা যায়। তাহাতে মেলার উপর নির্ভরতা কমিবে, গড্ডলিকা প্রবাহ অতিক্রম করিয়া কলিকাতা পুস্তকমেলাও তন্বী এবং বিশিষ্ট হইয়া উঠিবে। |
|
|
|
|
|