হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ বিধায়কের
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দু’জন চিকিৎসক থাকার কথা। সেখানে এক জন চিকিৎসক রয়েছেন। রবিবার সকালে রামপুরহাট হাসপাতালে পরিদর্শনে এসে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এক জন চিকিৎসক এক দিকে জরুরি বিভাগ সামলাবেন। আবার রোগীর অবস্থা খারাপ থাকলে জরুরি বিভাগ ছেড়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রোগী দেখতে যাবেন? এ ব্যাপারে আমি সুপার ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।” এ দিন তিনি রোগীদের দেওয়া মাছের ওজন, আয়তন এবং রান্নায় খোলা গুঁড়ো মশলা ব্যবহার করা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, মহিলা বিভাগে পুরুষদের আধিক্য দেখে ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন, “হাসপাতালে যাতে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে আমাদের তা দেখতে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই জন্য এ দিন হাসপাতালে এসেছিলাম। এখানে নানা দিকে অব্যবস্থা চোখে পড়ল। অগ্নি নিরোধক ব্যবস্থা যে ধরনের থাকা উচিত তা নেই। কোথাও আবার আবর্জনা জমে রয়েছে।”
রামপুরহাটে খাবার পরীক্ষা করছেন বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “মেডিক্যাল অফিসার যত জন থাকার কথা তার চেয়ে কম আছে। ফলে জরুরি বিভাগে দু’জন চিকিৎসক নিয়োগ করা যাচ্ছে না। তবুও জানুয়ারি মাস থেকে সিএমওএইচ-এর নির্দেশে আপাতত দুপুরে ও রাতে দু’জন করে চিকিৎসকককে জরুরি বিভাগে রাখা হবে।” প্রসূতি বিভাগে পুরুষদের আধিক্য প্রশ্নে সুপার বলেন, “বড় বড় করে নিষেধাজ্ঞার কথা লেখা থাকলেও পাহারাদার সংক্রান্ত সমস্যার জন্য এর স্থায়ী সমাধান হয়নি। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করার পরে আশা করা যায় সমস্যা মিটবে।” অন্য দিকে, এ দিনই বোলপুরের একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আসেন ওই কেন্দ্রের ওসি শেখ আব্বাস। হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা করে ১৫ দিনের মধ্যে দমকল থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, শনিবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যবিভাগের উপঅধিকর্তা (ম্যালেরিয়া) শঙ্কর সাহা-সহ অন্য আধিকারিকেরা। ল্যাবরোটরির বর্জ নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক করেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.