দূষণের মাত্রা বাড়ছেই দুর্গাপুরে |
দূষণ-জর্জর দুর্গাপুর। ছবিটি তুলেছেন শুভজিত রায় |
শহরের প্রাণকেন্দ্রে দূষণ নিরোধক যন্ত্র দীর্ঘকাল বিকল হয়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন। অনেক স্থানে দূষণ নিরোধক যন্ত্র বসানোর কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। শব্দ আইনের সীমা লঙ্ঘন করে চলছে লাউডস্পিকার। রোধ করা যায়নি প্লাস্টিকের ব্যবহারও। মেনগেট সংলগ্ন এলাকা, রাঁচি কলোনির বস্তি এলাকা, কাঁকসার গ্রামীণ অঞ্চল সর্বত্রই পরিবেশ দূষণের ভয়াল রূপ। পরিবেশ সুরক্ষার প্রশ্নে দুর্গাপুরের অস্তিত্ব চরম সঙ্কটে।
অবিলম্বে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ ও পৌরসভাকে এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি শিক্ষিত সমাজের জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগী হওয়াও একান্ত আবশ্যক। |
শুভজিত রায়। সিটি সেন্টার, দুর্গাপুর
|
দুর্গাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের অনতি দূরে শহরের পুরনো জনপদ পিয়ালা গ্রাম। পুরনিগমের ৩২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত। এর এক দিকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল), রাজ্য সরকারাধীন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। যার অবিরাম শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণের শিকার অঞ্চলের মানুষজন। অথচ এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে দেওয়া জমিতে বিধানচন্দ্র রায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বে গড়ে উঠেছিল এই শিল্প। তাঁদের অধিকাংশই পাননি ক্ষতিপূরণ। জনপদের অপর দিকে এক কিমির মধ্যে জিটি রোড পার হয়ে যেতে হয় শহরের মূল অংশে। এই রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে নানা দুর্ঘটনা।
এই দুরবস্থার পরিবর্তন হোক। এই সরকার দূষণমুক্ত দুর্গাপুর গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে এই জনপদকে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ মুক্ত করে, শহরের মূল অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন ঘটিয়ে, জমিহারাদের এই প্রজন্মকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুক এবং জিটি রোড পারাপারের জন্য ভূগর্ভস্থ চলাচলের ব্যবস্থা করুক। |
স্বরূপ সাহা। পিয়ালা, বর্দ্ধমান
|
‘ব্যস্ত ছিলেন চেম্বারে’ (২২-১০) লেখাটি সম্পর্কে এই চিঠি। যে কোনও সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এ রকম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ উঠলে তাঁদের কতগুলো স্বভাবজনিত রোগ ধরা পড়বেই। তার মধ্যে একটি সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গ।
এ সব চিকিৎসকের চেম্বার ভরার খুব চেনা পদ্ধতির একটি হল সরকারি হাসপাতালে চাকরি। এতে স্থানীয় এলাকায় ব্যক্তিগত পরিচিতি বাড়ে। অর্থাৎ চেম্বারের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্যই সরকারি হাসপাতালের চাকরি। চেম্বারে রোগীর ঢল নামলে সরকারি ডিউটিতে ‘দায়সারা’ মনোভাব জাগবেই। লম্বা তালিকায় রোগীর নাম। ফাঁকে ফাঁকে পছন্দের ক্লিনিক, নার্সিংহোম। তার পর কিসের প্রয়োজনে সরকারি চাকরি? কিসের নিয়মকানুন ইস্তফা দেওয়াতে?
কৃষ্ণনগর শহরের বিভিন্ন গলি, ঘুপচিতে এরই নমুনা দেখা যায়। শুধুমাত্র চিকিৎসকের জন্য আট বাই দশ ঘর। বাইরের বোর্ডে ঝুলছে নামের তালিকা, ডিগ্রি। অসুস্থ রোগী থেকে শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রাস্তার ধারে নর্দমার চাতালের ওপর বসে অথবা শুয়ে। মফস্বল, দূর গ্রাম থেকে আসা রোগী এবং তাদের আত্মীয়রা রাতে মশা, দিনে মাছির অবাধ উৎপাত ভোগ করছেন বাধ্য হয়েই। শহরের সরু গলিপথে চলছে গাড়ি, রিকশ, সাধারণ পথ-চলতি মানুষ। নিত্যদিন চেম্বার ঘটিত যানজট। এমনকী ঝড়-বৃষ্টির সময় মাথা বাঁচানোর ঠাঁই নেই। অবাক লাগে নোংরা, মাছের এঁটোকাঁটা, নর্দমা থেকে মাটি সমেত তোলা পলি-প্লাস্টিক, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চরম অবহেলায় ডাক্তারের অপেক্ষা। ১৫০-২০০ টাকা ভিজিট দিয়েও।
তাই জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, পানীয় জল, বসার জায়গা, ও টয়লেটের ব্যবস্থা নেই এ রকম পরিকাঠামোহীন চেম্বার বন্ধ করা দরকার। এতে কৃষ্ণনগর শহর নির্লজ্জ দৃশ্য থেকে মুক্তি পাবে। |
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|