ফের হরিণ শিকারের অভিযোগ উঠল জলদাপাড়ায়। রবিবার জলদাপাড়ায় হলং নদীর পাড়ে বনকর্মীরা একটি মৃত সম্বর উদ্ধার করেছেন। সেটির চারটি পা কেটে নিয়ে গিয়েছে চোরাশিকারীরা। বনকর্মীদের নজরদারি এড়িয়ে কী করে দুষ্কৃতীরা ওই সংরক্ষিত জঙ্গলে ঢুকে হরিণ শিকার করল সেই প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জলদাপাড়ার উত্তর রেঞ্জে বনকর্মীরা একটি সম্বরকে গুলি করে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী, হরিণটির মাংস ভাগ করে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। উত্তরবঙ্গের বনপাল বিপিন সুদ বলেন, “ওই সম্বরটির চারটি পা কারা কাটল তা দেখার পাশাপাশি কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিকার হয়েছে কি না তার খোঁজ নিচ্ছি।” রবিবার বিকালে কয়েকজন বনকর্মী হলং নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে টহল দেওয়ার সময় লক্ষ করেন একটি সম্বরের দেহ পড়ে। চারটি পা ধারালো অস্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। জঙ্গলের পথ দিয়েই দুষ্কৃতীরা যে পালিয়েছে তার প্রমাণ মিলেছে। আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত বলেন, “অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেও হৃদযন্ত্র বিকল হয়। নজরদারি চলছে ঢিলেঢালা ভাবে। চোরাশিকারীরাই সম্বর মেরেছে। তদন্ত দাবি করছি।”
|
হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে দূষণের মাত্রা কমেছে বলে দাবি রাজ্যের। হলদিয়ায় সিআইআই-এর এক সভায় রাজ্যের পরিবেশ সচিব আরপিএস কাহালোঁ দাবি করেন, কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়ায় কমেছে দূষণের মাত্রা। যেমন, শিল্প সংস্থাগুলি এখন দূষণরোধী ব্যবস্থা নেওয়া নিয়ে বেশি সচেতন। পাশাপাশি প্রতিটি সংস্থায় প্রশাসনিক নজরদারিও জোরদার হয়েছে। ফলে দূষণের কারণে কেন্দ্র হলদিয়ায় নতুন লগ্নির ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা সময়সীমার আগেই উঠে যাবে বলে তাঁদের আশা। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের হিসেবে দূষণের সূচক ৭০-এর বেশি হলেই সংশ্লিষ্ট এলাকা ‘মাত্রাতিরিক্ত দূষিত’ বলে গণ্য হয়। সেই তালিকায় হলদিয়া ছাড়াও হাওড়া ও আসানসোল শিল্পাঞ্চল আছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কারণে ওই সব অঞ্চলে নতুন লগ্নিতে নিষেধাজ্ঞা ছিলই। এর পর তা আগামী মার্চ অবধি বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। পরিবেশ সচিব বলেন, “আশা করছি, মার্চের আগেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।” সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এখন হলদিয়ার দূষণের সূচক প্রায় ৬৭।
|
মালগাড়ির ধাক্কায় মারা গেল একটি হাতি। জখম হল আরও কয়েকটি। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ যোরহাটের মরিয়ানি এলাকায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। আশঙ্কা, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ, লাইনের চারপাশে ছড়িয়ে আছে হাতির ছিন্নভিন্ন দেহ। ট্রেনের তলাতেও হাতি আটকে আছে। ক’টি হাতি মারা গিয়েছে বা জখম হয়েছে সে বিষয়ে রাত পর্যন্ত নিশ্চিত নয় পুলিশ ও বনকর্মীরা। হাতির দেহ ট্রেনের নীচে আটকে থাকায় রাত অবধি ট্রেনটি আটকে থাকে। পুলিশ ও বনবিভাগ সূত্রে খবর, এ দিন গিবন অভয়ারণ্য থেকে বের হয়ে হাতির একটি দল হাজির হয় মরিয়ানিতে। ১৯.৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা হুলক গিবন অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে গিয়েছে রেলপথ। মরিয়ানির কাছে মেলেং এলাকায় ট্রেন লাইন পার হওয়ার সময়ই মালবাহী একটি ট্রেন হাতির পালকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই একটি হাতি মারা যায়।
|
গড়বেতায় এক ‘রেসিডেন্ট’ দাঁতালকে মারার পরে শনিবার রাতে দলমার হাতির দলটি বিষ্ণুপুর বনাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ধাদিকা দিয়ে বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ রেঞ্জের হাতনাড়ায় ঢুকেছে দলটি। এবং ঢুকেই হাতনাড়া ও লাগোয়া বনগেলিয়া, বেলশুলিয়া প্রভৃতি গ্রামে তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে দলমার দামালেরা। ডিএফও (বিষ্ণুপুর) বিদ্যুৎ সরকার রবিবার বলেন, “গড়বেতা থেকে আসা ওই দলটিতে ১৯টি হাতি রয়েছে। দলমার দল ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়েছে।” তিনি জানান, এই হাতির দলের পিছনে বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্তে রয়েছে প্রায় ১০০ হাতির একটি বড় দল। যে কোনও মুহূর্তে সেই দলটিও বাঁকুড়ায় ঢুকে পড়তে পারে। সে কথা মাথায় রেখে বনকর্মীদের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “হাতির পাল ঢুকতেই ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।”
|
গরু পাচারের পথে রক্ষীদের গুলিতে হত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের গুলিতে দুই গরু পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে মালদহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। বিএসএফের এক মুখপাত্র জানান, ওই রাতে ৫০-৬০ জনের একটি দল ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার করছিল। কর্তব্যরত জওয়ানেরা তাদের আটকান। দুষ্কৃতীরা জওয়ানদের আক্রমণ করলে বিএসএফ পাল্টা গুলি চালায়। তাতেই দু’জনের মৃত্যু হয়। নিহত দুই পাচারকারী বাংলাদেশের নাগরিক বলে বিএসএফের দাবি। কোচবিহারে গরু পাচারকারীদের আক্রমণে এক জওয়ান জখম হয়েছেন বলে বিএসএফ সূত্রের খবর। মুর্শিদাবাদের বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বিএসএফ। তিনিও বাংলাদেশের নাগরিক বলে বিএসএফের দাবি। বাহিনীর মুখপাত্র জানান, এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিএসএফ-কর্তৃপক্ষ।
|
মাথাভাঙার পরিবেশপ্রেমী সংগঠন গ্রিন মিশন রবিবার ডুয়ার্সের মূর্তিতে প্রকৃতিপাঠ শিবির আয়োজন করল। এ বছর বর্ষায় কোচবিহার জেলার ১০টি পঞ্চায়েতে ১৭৪ স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। ৪৫৯২ ছাত্রছাত্রী নিয়ে বসে আঁকো, বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে প্রবন্ধ, স্লোগান প্রতিযোগিতায় সফল ২৭ জনকেও পুরস্কৃত করা হয়। ছিলেম সিতাইয়ের বিধায়ক কেশব রায়, এসেছিলেন নাগরাকাটার বিধায়ক জোশেফ মুন্ডা। |