নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
আজ সোমবার থেকে শিলিগুড়িতে শুরু হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে উত্তরবঙ্গের হস্তশিল্প-মেলা। নিজের সাজ থেকে গৃহসজ্জা মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে হরেক রকম হস্তশিল্পের চাহিদা। আদিবাসী-এলাকার হস্তশিল্পকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টায় জঙ্গলমহলে মেলা করছে রাজ্য সরকার। সেটি চলবে ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৬ দিন ধরে। বিশ্বায়নের যুগেও বিক্রি বাড়ছে বাংলার কাঁথাস্টিচ শাড়ি থেকে ‘এথনিক’ অলঙ্কার, পটচিত্র, বাঁশ-দড়ি-কাঠের শিল্প। উদ্যোক্তাদের আশা, জঙ্গলমহলে মেলা করলে একদিকে আদিবাসী-শিল্পকর্ম আরও বেশি করে প্রকাশ্যে আসবে। এর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ সৃষ্টিশীল নানা কাজের মাধ্যমে উপার্জনের চেষ্টা করতে পারবেন। ক্ষুদ্র কুটিরশিল্প ও বস্ত্রমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এ কথা জানিয়ে বলেন, “আধুনিকাদের মধ্যে নানা রকম আদিবাসী-অলঙ্কারের চাহিদা বাড়ছে।” চিনি বলেন, এর উপর সরকার গুরুত্ব দিতে চায়। কীভাবে বাড়ছে রাজ্যে সার্বিক হস্তশিল্পের চাহিদা? সরকারের হিসাবে, কলকাতায় সদ্যসমাপ্ত হস্তশিল্প-মেলায় এবার বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি ৭৬ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার। গতবার পরিমাণটি ছিল ৮ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। এই দু’বছর এই মেলায় অংশ নিয়েছেন যথাক্রমে ২৯৬৩ ও ২৯৪১ জন শিল্পী। এবারের মেলায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বীরভূমের শিল্পকর্ম২ কোটি ৭৮ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার। বিক্রির হিসাবে এর পর দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতা -- যথাক্রমে ৮৭ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা এবং ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা। ডোকরা থেকে টেরাকোটা, শুকনো ফুল থেকে ‘এমব্রোডায়েরি’ বাড়ছে বাংলার সব রকম শিল্পের চাহিদাই। কলকাতার সাম্প্রতিক মেলার ‘সাফল্যের’ পর রাজ্যেআরও বেশি করে এ রকম মেলা ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।
|