পেট্রোল পাম্প কতটা নিরাপদ, দেখার দাবি মালিকদেরই |
রাজ্যের পেট্রোল পাম্পগুলো কতটা নিরাপদ, আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পরে তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন পাম্প মালিকরাই। পেট্রোল পাম্পগুলির সুরক্ষা-ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট তেল সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন তাঁরা।
রাজ্যের সব পেট্রোল পাম্পের পরিকাঠামো এবং সেখানে অগ্নি প্রতিরোধী ব্যবস্থা কতটা মেনে চলা হচ্ছে, তা নিয়ে শনিবার বৈঠকে বসেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার অ্যাসোসিয়েশন’ এর কর্তাব্যক্তিরা। ওই সংগঠনের সভাপতি তুষার সেন বলেন, “প্রতিটি পেট্রোল পাম্পেই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ঠিকঠাক রয়েছে এমন দাবি করতে পারছি না। অনেক জায়গাতেই সমস্যা রয়েছে। তাই কিছু ঘটার আগেই সংশ্লিষ্ট তেল সংস্থাগুলো তাদের পেট্রোল পাম্পগুলো পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিলে ভাল হয়। সেই জন্যই সবার কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।” তাঁর বক্তব্য, একটি পেট্রোল পাম্প তৈরি করার সময় অনেক নিয়ম মেনে করতে হয়। কিন্তু তৈরির পরে কে কতটা নিয়ম মেনে চলছে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।
শুক্রবার আমরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরেই সংগঠনের তরফে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। তুষারবাবু জানান, প্রতিটি তেল সংস্থারই প্রতিটি এলাকার জন্য ফিল্ড অফিসার রয়েছেন। তাঁরাই পেট্রোল পাম্পগুলোর পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করতে পারবেন। তিনি বলেন, “বিস্ফোরক এবং দমকল আইন অনুযায়ী বিধি মেনে চলার জন্য সমস্ত ডিলারদের কাছে এসএমএস-এর মাধ্যমে সতর্ক বার্তা পাঠানো শুরু হয়েছে। তা না মানলে মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংগঠনের তরফে পেট্রোল পাম্পটি বন্ধও করে দেওয়া হবে।”
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়াম, ইন্ডিয়ান অয়েল এই তিনটি তেল সংস্থা মিলিয়ে সারা রাজ্যে প্রায় ২৫০০টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা ও শহরতলিতে আছে প্রায় ২০০টি। যার মধ্যে প্রায় ৭০-৮০টি পেট্রোল পাম্পই রয়েছে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। হাওড়া, হুগলিতেও অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প রয়েছে জনবসতির মধ্যেই। যদিও সেই পেট্রোল পাম্পগুলো যখন তৈরি হয়েছিল, ওই সব এলাকায় জনবসতি তেমন গড়ে ওঠেনি। বর্তমানে পেট্রোল পাম্পের জন্য যাতে জনবসতিতে ক্ষতি না হয়, সে জন্যই এই ভাবনা বলে জানিয়েছেন সংগঠন কর্তারা। |
ধান কেনা নিয়ে মমতার দ্বারস্থ প্রদেশ কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চাষিরা যাতে ধান, পাটের ন্যায্যমূল্য পান, সেই দাবিতে আগেই পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। এ বার চাষিদের ‘দাবি’ আরও জোরালো করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছে তারা। চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান, পাট কিনবেন, এমন এজেন্ট নিয়োগের অনুরোধ জানিয়ে শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কংগ্রেস সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “ধান, পাট বিক্রির জন্য যে এজেন্টরা এখন রয়েছেন, তাঁদের অনেকের সঙ্গেই ফড়েদের যোগাযোগ রয়েছে। চাষিদের কাছ থেকে ধান, পাট কিনতেও তাঁরা খুব একটা আগ্রহী নন। ফলে চাষিদের হাতে টাকা আসছেই না।” এই পরিস্থিতিতে চাষিদের স্বার্থে রাজ্য সরকার সরাসরি এজেন্ট নিয়োগে উদ্যোগী হলে চাষিদের উপকার হতে পারে বলে মনে করেন প্রদীপবাবু। তাঁর বক্তব্য, “ফড়েদের হাত থেকে চাষিদের বাঁচাতে সরকার যাতে এজেন্ট নিয়োগ করে, সেই অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দু’একদিনের মধ্যেই চিঠি দেব।” চাষিদের ধান, পাটের ন্যায্য মূল্য দেওয়ার দাবিতে দিন কয়েক আগেই ব্লকে ব্লকে বিডিওদের দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এ বার সেই বিক্ষোভ জেলা সদরেও পৌঁছে দিতে চায় কংগ্রেস। এ বিষয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। ঠিক হয়েছে, মাস খানেকের মধ্যে প্রতিটি জেলায় জেলাশাসকের দফতরে জেলা কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হবে। |