বেসরকারি স্তরে বড় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব এল রাজ্য সরকারের কাছে। লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো এই প্রস্তাব দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংস্থার কর্তারা এ নিয়ে বৈঠকে বসেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ নিয়ে কী ভাবে কী করা যায়, তার জন্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।”
সিমেন্ট, নির্মাণ শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ক্ষেত্রের পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর পূর্ব অভিজ্ঞতাও লার্সেন টুব্রোর রয়েছে বলে জানান সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সত্যেন্দ্রনাথ রায়। তিনি জানান, পঞ্জাবে ইতিমধ্যেই তাঁরা ১৪০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের লক্ষ্য আরও বড়, ১৬০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র গড়া।
এ রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে এ যাবৎ এক মাত্র বেসরকারি সংস্থা রয়েছে সিইএসসি। অভিযোগ, রাজ্যে বিদ্যুতের সঙ্গিন অবস্থা হওয়া সত্ত্বেও অন্য কোনও বেসরকারি উৎপাদন কেন্দ্র গড়ার ব্যাপারে বাম আমলে উদ্যোগ ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর এই ধরনের কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব নিয়ে অগস্ট মাসে লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোই প্রথম আবেদন জানায়। সংস্থার কর্তা সত্যেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “অর্থ, কারিগরি প্রযুক্তি সবই আমাদের রয়েছে। ব্যবসাও করতে চাই। তাই নতুন সরকার আসার পর আমরা যোগাযোগ করেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের সঙ্গে। শনিবার দ্বিতীয় বৈঠকের পর আমাদের মনে হচ্ছে আমরা সত্যিই কিছু করতে পারব। কারণ রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে”
এ দিন দুপুরে সংস্থার কর্তারা প্রথমে দেখা করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্তের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ ব্যাপারে শিল্পমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়তে গেলে জমি, জল, নিজস্ব কোল ব্লক, কয়লা নিয়ে আসার জন্য রেক ইত্যাদির ব্যবস্থা সংস্থাকেই করতে হবে। তবে সব চেয়ে আগে সংস্থাকে জানাতে হবে তাঁরা এ রাজ্যের কোথায় উৎপাদন কেন্দ্রটি গড়তে চান। তার জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে কি না। এই বিষয়গুলি পরিষ্কার করে তারা বিস্তারিত প্রস্তাব দিক। আমরা আন্তরিক ভাবে বিবেচনা করব।” |